১০০ দিনের কাজ সহ বিভিন্ন প্রকল্পে এগিয়ে রাজ্য, বলছে কেন্দ্রীয় রিপোর্ট
কেন্দ্রীয় সরকারের পরিসংখ্যানই বলছে, ১০০ দিনের কাজ সহ বিভিন্ন প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গ সবার আগে। রাজ্য সরকারের এই সাফল্যের কথা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। গ্রামের মা-বোনেদেরও বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে সে কথা বলতে হবে। তাহলে আর সাধারণ মানুষের মধ্যে কোনও দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকবে না। সাধারণ মানুষও বুঝতে পারবেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্য সরকার তাঁদের জন্য ১০ বছরে কত কাজ করেছে। রবিবার পুরুলিয়ার রবীন্দ্রভবনে ‘পঞ্চায়েতি রাজ’ বইয়ের বিশেষ পুরুলিয়া সংখ্যার উদ্বোধন করে পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় (Subrata Mukherjee) একথা বলেন।
সুব্রতবাবু বলেন, পশ্চিমবঙ্গই পঞ্চায়েত রাজ ব্যবস্থার সূচনা করে। ঘটনাচক্রে সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়ের সেই মন্ত্রিসভায় আমি পঞ্চায়েত দপ্তরের দায়িত্বে ছিলাম। পরে বাম আমলে পঞ্চায়েত ব্যবস্থা একটু বিপথে চলে গিয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর পঞ্চায়েত ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজিয়ে ফের ঠিক পথে নিয়ে আসেন। ১০০দিনের কাজ, রাস্তা সংস্কার, বৃক্ষরোপণ, পুকুর সংস্কারে আমরা দেশের মধ্যে এক নম্বরে। পঞ্চায়েত রাজের তিনটি ধাপে ভালো কাজ হলে আমাদের আর কেউ রুখতে পারবে না।
সুব্রতবাবু বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর পুরুলিয়া-বাঁকুড়া-ঝাড়গ্রামে উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি জোর দেন। পিছিয়ে পড়া এলাকার তকমা মুছে ফেলার জন্য সব রকম চেষ্টা করেছেন। যাঁদের অনেক টাকা, তাঁরা হয়তো সুইজারল্যান্ডে বেড়াতে যান। কিন্তু যাঁদের টাকা কম, তাঁরা পুরুলিয়া-বাঁকুড়া-ঝাড়গ্রামে বেড়াতে আসেন। এই এলাকায় বেড়াতে এলে শরীর ও মন ভালো হয়ে যায়।
এদিন পঞ্চায়েতিরাজ পত্রিকার বিশেষ পুরুলিয়া (Purulia) সংখ্যার উদ্বোধন করে সুব্রতবাবু সবাইকে তা পড়ার এবং অন্যদেরও পড়ানোর পরামর্শ দেন। এদিনের অনুষ্ঠানে সুব্রতবাবু ছাড়াও অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু, পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলাশাসক অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সুব্রতবাবু বলেন, নেতাজির জন্মদিনে মুখ্যমন্ত্রীকে অপমান করার পরেও প্রধানমন্ত্রীর নীরব থাকাটা আমাকে অবাক করেছে। প্রধানমন্ত্রীর দুঃখপ্রকাশ করা দরকার ছিল। ওটা তো কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠান ছিল না। এটা শুধু মুখ্যমন্ত্রীর অসম্মান নয়, পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্টি-সংস্কৃতির পাশাপাশি আমাদের সকলের অপমান। তাই এই ঘটনার একযোগে নিন্দা জানানো উচিত। ওই ঘটনার পর বক্তব্য না দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী একদম সঠিক কাজই করেছেন। ওই ঘটনার আর বক্তব্য দেওয়া যায় না। পশ্চিমবঙ্গের মাটি তৃণমূলের জন্য কতটা শক্ত, তা নির্বাচনের পর বিজেপি বুঝতে পারবে।
‘দলবদলু’দের নিয়ে পঞ্চায়েতমন্ত্রী বলেন, যাঁরা চলে যাচ্ছেন, তাঁরা হয়তো অন্য কোনও জায়গায় ‘সম্পদ’ হবেন। কিন্তু, তাতে তৃণমূলের কোনও ক্ষতি হবে না। নিচুতলার কোনও দু’-একজনের উপর তো আর দল টিকে থাকে না। তবে আমার মনে হয়, যাতায়াতের এই গেম এবার ওভার হয়েছে।