রুদ্রকে আক্রমণ করে অনিকেতের কবিতা
গত বছর ৫ জুন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ (Rudranil Ghosh) সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় একটি স্বরচিত কবিতাপাঠ করেছিলেন। নিমেষে রুদ্রনীলের ওই কবিতা পাঠ ভাইরাল হয়ে যায়। যখন অতিমারী চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে, দেশে লকডাউনের জেরে সাধারণ মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত ঠিক সেই সময় রুদ্রর ওই কবিতা সাধারণ মানুষের মনের কথা বলেছিল। কবিতার শেষে অভিনেতা নিজেও বলেছিলেন, ‘এই ভিডিওটা সেই সমস্ত মানুষের জন্য যাঁরা অত্যন্ত ব্যস্ত বলে অন্যের বিপদে- আপদে কিংবা সাতে পাঁচে থাকার সময় পান না।’
তারপর কয়েকটা মাস কেটে গিয়েছে। দেশে করোনা সংক্রমণ কমছে। কিন্তু একদা তৃণমূল ঘনিষ্ঠ এই অভিনেতার পার্টির সঙ্গে দূরত্ব ক্রমেই বাড়ছে। গত কয়েকদিনে তিনি একাধিক বিজেপি (BJP) নেতার সঙ্গে দেখা করেছেন। তার মধ্যে শঙ্কুদেব পণ্ডা, শুভেন্দু অধিকারী সহ অনেকে রয়েছেন। সম্প্রতি দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও সেলফি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন এই অভিনেতা। রুদ্রনীল বরাবরই রাজনৈতিকভাবে সচেতন। প্রথমে তিনি সিপিএমের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত ছিলেন। তারপর রাজ্যের বর্তমান শাসকদল তৃণমূলের সদিচ্ছায় তিনি ভোকেশনাল এডুকেশনের পর্ষদ সভাপতি হয়েছিলেন। এবার তাঁর বিজেপি ঘনিষ্ঠতা দেখে অনেকেই টিপ্পনি কাটছেন।
রুদ্রনীলের কবিতার ধাঁচেই সোমবার একটি কবিতা পাঠ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন পরিচালক অনিকেত চট্টোপাধ্যায় (Aniket Chatterjee)। সেই কবিতা শুনলেই বোঝা যায়, তাঁর ইঙ্গিত রুদ্রর দিকে। তবে কবিতার কোথাও তিনি কারও নাম নেননি। অনিকেতের এই কবিতার ভিডিও রুদ্রনীলকে পাঠানো হলে তিনি বলেছেন, ‘উনি যা যা বলেছেন তার সঙ্গে আমার মিল নেই। আমার নামও বলেননি। তবে আমার লেখা কবিতা অবলম্বনে কবিতা লিখেছেন জেনে আনন্দিত হলাম।’ কবিতার সঙ্গে তাঁর সাদৃশ্যের কথা অস্বীকার করলেও অনিকেতের আক্রমণের ভাষা ছিল বেশ চাঁচাছোলা। রুদ্রর এই বক্তব্য অনিকেতকে জানানো হলে তিনি বলেন, ‘কেউ কেউ আয়নায় নিজের চেহারা দেখে চিনতে পারেন না। সকলে জানেন এটা কাকে নিয়ে লেখা, আলাদা করে তার ব্যাখ্যা দেওয়ার দরকার নেই। সকাল থেকে শ’খানেক ফোন পেয়েছি। যাঁর বিবেক-বোধ বহুদিন আগে বিক্রি হয়ে গিয়েছে তাঁর কাছ থেকে এটাই আশা করা যায়।’