হোয়াটসঅ্যাপের ‘প্রাইভেসি পলিসি’ নিয়ে উদ্বিগ্ন সরকার, দিল্লি হাইকোর্টকে জানাল কেন্দ্র
ইউরোপীয় গ্রাহকদের জন্য কোনও বিধি-নিষেধ নেই। একতরফা ভাবে শুধুমাত্র ভারতীয়দেরই নিয়মের বেড়াজালে বাঁধতে চাইছে সোশ্যাল মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বিষয়টি নিয়ে যারপরনাই উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় সরকার। ইতিমধ্যেই নির্দিষ্ট কিছু তথ্য জানতে চেয়ে অ্যাপ কর্তৃপক্ষকে সরকারি স্তরে চিঠিও পাঠানো হয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপের (Whatsapp) নতুন ‘প্রাইভেসি পলিসি’র বিরোধিতায় দায়ের হওয়া মামলার শুনানিতে সোমবার দিল্লি হাইকোর্টকে এমনটাই জানাল কেন্দ্র।
এদিন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল চেতন শর্মা বলেন, ‘এই বৈষম্য স্বাভাবিকভাবেই সরকারকে উদ্বিগ্ন করেছে। বিশেষ করে যখন শুধুমাত্র ভারতীয়দেরই একতরফাভাবে এই নীতি মানতে বাধ্য করা হচ্ছে।’ পাল্টা হোয়াটসঅ্যাপের পক্ষে আইনজীবী কপিল সিবাল আদালতকে বলেন, সরকারের তরফে পাঠানো চিঠি হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ পেয়েছে। যে যে তথ্য চাওয়া হয়েছে, সবটাই জানানো হবে। দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর আদালত আগামী ১ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করে। হোয়াটসঅ্যাপের নয়া পলিসিতে স্থগিতাদেশ চেয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক আইনজীবী। আর্জিতে তিনি জানান, যতদিন না দেশে ‘পার্সোনাল প্রোটেকশন বিল’ পাশ হচ্ছে, ততদিন যেন হোয়াটসঅ্যাপ তাদের নয়া পলিসি কার্যকর না করে, তা নিশ্চিত করুক আদালত। এদিন সেই মামলারই শুনানি ছিল দিল্লি হাইকোর্টে। নতুন প্রাইভেসি পলিসি ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন নীতি কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, রোষের মুখে পড়ে বিষয়টি তিন মাসের জন্য স্থগিত রাখতে বাধ্য হয়েছে ফেসবুক অধীনস্থ সংস্থাটি। এরই মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপকে চিঠি দিয়ে দেশের গ্রাহকদের তথ্য কতটা নিরাপদ, তা জানতে চেয়েছে কেন্দ্র।