লক্ষ্য বিধানসভা ভোট, ১৯৪ আসনে রফা বাম-কংগ্রেসের
তিন জেলা নিয়ে জটিলতা অব্যাহত রেখেই আরও কয়েকটি আসনে রফা করে ফেলল বাম-কংগ্রেস (Left-Congress)। বৃহস্পতিবার বিধান ভবনে জোটের বৈঠকে ঠিক হয়েছে, ২০১৬র বিধানসভায় যে কটি আসনে কংগ্রেস লড়াই করেছিল, সেই ৯২টি আসনই তাদের ছাড়া হবে। বামেরা লড়বে ১০১টি আসনে। সবমিলিয়ে ২৯৪টি আসনের মধ্যে ১৯৩ টি আসনে বাম-কংগ্রেস লড়ছে। বাকি ১০১টি আসন নিয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে ১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে। এদিনের বৈঠকে ব্রিগেডের চূড়ান্ত দিনক্ষণ স্থির হয়েছে। আাগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেডে বিশাল জনসভার মধ্যে দিয়ে বাম-কংগ্রেস জোটের আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু হবে। অতিথি তালিকায় থাকছেন একাধিক হেভিওয়েট।
গত সপ্তাহে একবার নিজেদের মধ্যে আসন বণ্টন নিয়ে বৈঠকে বসেছিল বাম-কংগ্রেস। তাতে বেশ কয়েকটি আসন নিয়ে আলোচনা হয়। কংগ্রেসের তরফে প্রদেশ সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী ১৩০টি আসনের দাবি করেছিলেন, যা মেনে নেওয়া হয়নি বামেদের তরফে। রাজনৈতিক মহলের মতে, বামেদের ১৬টি শরিক দল। তাদের সবাইকে নিয়েই জোটে লড়তে হবে। ফলে জোট শরিকদের সকলের দাবি মেনে তাদের আসন ছাড়তে হবে। তাই সবদিক বজায় রেখে বামেদের পক্ষে জোট সফল করার বাধ্যবাধকতা অনেক বেশি। এই পরিস্থিতিতে বামেরা এই মুহূর্তে ১০১টি আসনে লড়বে। তবে শরিকদের দাবি মেনে আরও আসন তাদের ছাড়তে হতে পারে।
জোট জট অব্যাহত তিন জেলায়। মুর্শিদাবাদ, আলিপুরদুয়ার, পুরুলিয়া। কারণ, এই তিন জেলাতেই কংগ্রেস এবং বাম – উভয়ের ভিতই শক্ত। অন্যদিকে, নদিয়া এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের কিছুটা অংশেও একই পরিস্থিতি। তাই আসন বণ্টন নিয়ে দু’পক্ষের মতৈক্য হওয়া কিছুটা কঠিন হয়ে পড়ছে।অন্যদিকে, এদিনের বৈঠকে ঠিক হয়েছে বাম-কংগ্রেসের যৌথ ব্রিগেড সমাবেশের দিনক্ষণ। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেডে জোটের রাজনৈতিক সমাবেশ। বক্তা হিসেবে সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী ছাড়াও আমন্ত্রিত হতে চলেছেন কানহাইয়া কুমার (সিপিআই কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য), তেজস্বী যাদব ( আরজেডি বিধায়ক) ও জিগ্নেশ মেওয়ানি (গুজরাটের নির্দল বিধায়ক)।