হরিয়ানা থেকে ফের আসছে হাজার খানেক ট্র্যাকটর, পরিস্থিতি উত্তপ্ত
কৃষক আন্দোলনে(Farmers Protest) ফের উত্তেজনা বাড়ছে। দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ সীমানায় গাজিপুরে(Gazipur) হাজার হাজার কৃষক অবস্থানে রয়েছে। অন্যদিকে হরিয়ানার বিভিন্ন গ্রাম থেকে অন্তত এক হাজার ট্রাকটর(Tractor) রওনা দিল। প্রতি ঘর থেকে একজন করে আন্দোলনে আসছে।
ভারতীয় কিষান ইউনিয়ন(Bharatiya Kisan Union) নেতা রাকেশ টিকায়েত(Rakesh Tikayat) আন্দোলনে অনড়। তার মঞ্চ ঘিরে রয়েছে প্রায় হাজার খানেক পুলিশ। হরিয়ানার দিক থেকে কৃষকদের ট্রাকটর মিছিল আসছে শুনে ফের গরম পরিস্থিতি।
অন্যদিকে দিল্লি-উত্তরপ্রদেশের সীমানা এলাকা গাজিয়াবাদে কৃষি আইনের প্রতিবাদে আন্দোলনরত কৃষকদের জন্য পানীয় জল এবং বিদ্যুতের ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করেছে প্রশাসন। আন্দোলনস্থল ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। যদিও আন্দোলনস্থল ছাড়তে নারাজ কৃষকরা।
কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত জানিয়েছেন, গ্রেফতার হবে কিন্তু অবস্থান সরবে না। তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের তরফে বলা হয়েছে কৃষকরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছেন। কোনও অশান্তি গাজিপুর বর্ডারে ঘটেনি। তবুও জোর করে আন্দোলনস্থল থেকে সরিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন।
অন্যদিকে প্রজাতন্ত্র দিবসের ঘটনায় ২২ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে৷ তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন টিকাইত৷ ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিদ্রোহী কৃষকরা ২৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে এগিয়ে যায় এবং ব্যারিকেড ভেঙে ফেলে৷ এই বিক্ষোভে প্রায় ৪০০ জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন বলে খবর।
কৃষকদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, পুলিশের কাছ থেকে কাঁদানে গ্যাস, কমপক্ষে ২০টি মিরচি বোমা চুরি করে আন্দোলনরত কৃষকরা৷ এমনকী ২৬ জানুয়ারি নির্দিষ্ট সময়ের আগেই কৃষকরা ট্রাক্টর ব়্যালি শুরু করেছিলেন বলেও এফআইআর-এ উল্লেখ করা হয়েছে৷
বুধবার শ্রীবাস্তব বলেন কৃষক নেতারা যে ট্রাক্টর মিছিল করেন, তা অনিয়ন্ত্রিত ছিল। দিল্লি হিংসায় উস্কানিমূলক আচরণ করেছেন কৃষক নেতারা। তাঁদের মদতেই বিক্ষোভ এই আকার নিয়েছে।