মতুয়ারা ইতিমধ্যেই নাগরিক, তাদের আবার কীভাবে নাগরিকত্ব দেবে, প্রশ্ন তৃণমূলের
মতুয়াদের হতাশ করেছে কেন্দ্র। অমিত শাহ নাগরিকত্বের বিষয় নিয়ে সবার যে উদ্বেগ ছিল সেই বিষয়ে সমাধান করার কথা ছিল কিন্তু তিনি তা করেননি। আজ এই বিষয় নিয়েই তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করলরন বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা সুব্রত মুখার্জী (Subrata Mukherjee)।
দেখে নিন সাংবাদিক বৈঠকে সুব্রত মুখার্জির বক্তব্যের বিশেষ অংশগুলি:
• সংসদে সিএএর জন্য ৬ মাসের মধ্যে আইন তৈরি করার কথা ছিল। হাজার হাজার মানুষকে অনিশ্চয়তায় ফেলে আইন তৈরি করতে আরও সময়
• বাংলায় মতুয়ারা নাগরিক। তারা ভোট দিয়েছে।
• যারা ইতিমধ্যেই নাগরিক তাদের আপনি কীভাবে নাগরিকত্ব দিতে পারেন? যাদের রেশন কার্ড আছে তারা নাগরিক
মতুয়াদের উন্নয়নের জন্য কাজ করছে তৃণমূল: বাংলায় মতুয়ারা বিধায়ক এবং সাংসদ হয়েছে। বিনাপানি দেবীর (বড় মা) বড় ছেলে কপিল কৃষ্ণ ঠাকুর ২০১৪ সালে বনগাঁয়ের টিএমসি সাংসদ ছিলেন। তার ছোট ভাই মঞ্জুল কৃষ্ণ ২০১১ সালে গাইঘাটা থেকে টিএমসি বিধায়ক হয়েছিলেন।
সুব্রত আজ বলেন যে তৃণমূল সর্বদা মতুয়া সম্প্রদায়ের উন্নয়নে কাজ করেছে –
মতুয়াদের জমির অধিকার: ২০২০ সালের নভেম্বরে মুখ্যমন্ত্রী মতুয়া সম্প্রদায়ের শরণার্থীদের ২৫০০০ পাট্টা (জমির) বিতরণ করেছিলেন। এই ভূমি অধিকার দলিলটি নিশ্চিত করবে যে তারা এই দেশের নাগরিক এবং কেউ তাদের নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন করতে পারে না ।
মতুয়া উন্নয়ন বোর্ডকে তহবিল বরাদ্দ: পশ্চিমবঙ্গ নমশূদ্র কল্যাণ বোর্ড এবং মতুয়া কল্যাণ বোর্ড গঠন করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৮ সালে। তিনি মতুয়া সম্প্রদায়ের কল্যাণে উন্নয়নমূলক কাজ গ্রহণের জন্য মতুয়া কল্যাণ বোর্ড এবংনমশূদ্র কল্যাণ বোর্ডকে ১০ কোটি এবং পাঁচ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন।
স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প: মুখ্যমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত নাগরিকদের পরিবার প্রতি পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত প্রাথমিক স্বাস্থ্য বীমার ব্যবস্থা করেছেন এবং এর জন্য সম্পূর্ণ অর্থ দে সরকার। এর ফলে পশ্চিমবঙ্গের মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রায় ৩কোটি মানুষ উপকৃত হবে।
হরিচাঁদ ঠাকুরের মূর্তি:গুরু হরিচাঁদ ঠাকুরের একটি মূর্তি ইতিমধ্যেই হেলেঞ্চা বাগদাতে তৈরি করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এটি শীঘ্রই গুরুর সম্মানে একটি পার্কে নির্মিত হবে।
বড়মাকে সম্মান: বড়মা এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক সবার কাছেই সুপরিচিত। রাজ্য সরকার তাকে মর্যাদাপূর্ণ এই রাজ্যের সর্বোচ্চ সম্মান বঙ্গ বিভূষণ পুরষ্কারে ভূষিত করেছিল। বড়মা এর মৃত্যুর পরে, রাজ্য সরকার মতুয়া সম্প্রদায়ের মনোভাবকে সম্মান জানাতে গান স্যালুটের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ওনার শেষকৃত্য করা হয়
মতুয়ার জন্য শিক্ষায় উন্নয়ন: মতুয়া সম্প্রদায়ের শিক্ষার গুরুত্ব উপলব্ধি করে মুখ্যমন্ত্রী উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার চাঁদপাড়ায় ৮.১ একর জমিতে হরিচাঁদ গুরুচাঁদ বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন। তিনি ২০১২ সালে পি.আর. সরকারী কলেজ এবং ২০১৭ সালে বাগদাতে হরিচাঁদ গুরুচাঁদ আইটি কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ২০১৭ সাল থেকে পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে ৯,১০, এবং ১১ ক্লাসের সিলেবাসে নমশূদ্র আন্দোলন এবং মতুয়া বিপ্লব অন্তর্গত হয়েছিল।
ঠাকুরনগর রেল স্টেশন: রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠাকুরনগর রেল স্টেশন করেছিলেন এবং ঠাকুরনগর লোকাল নামে একটি স্থানীয় ট্রেনও চালু করেছিলেন।