বঙ্গ রাজনীতিতে ‘আয়ারাম গয়ারাম’ – বিদ্রুপ নেটদুনিয়ায়
২০২১-এর ভোট-রাজনীতিতে শিরোনামে ‘বেসুরো’র দল। তাঁদের মুখের লব্জ, ‘দলে থেকে কাজ করতে পারছি না’! বিজেপিতে যোগ দেওয়ার এক নতুন ফর্মুলা যেন। প্রথমে দলকে দুষে সংবাদমাধ্যমে বাইট দেওয়া। তারপর মানেভঞ্জন পর্ব। আবার গোঁসা। শেষমেশ বিজেপিতে যোগ। ২০২১-এর ভোট-রাজনীতিতে শিরোনামে ‘বেসুরো’র দল। ২০২১-এর ভোট-রাজনীতিতে শিরোনামে ‘বেসুরো’র দল। তাঁদের মুখের লব্জ, ‘দলে থেকে কাজ করতে পারছি না’! বিজেপিতে যোগ দেওয়ার এক নতুন ফর্মুলা যেন। প্রথমে দলকে দুষে সংবাদমাধ্যমে বাইট দেওয়া। তারপর মানেভঞ্জন পর্ব। আবার গোঁসা। শেষমেশ বিজেপিতে যোগ।
রসিক-বাঙালির নেট-আমোদেও এই বেসুরোরাই নায়ক। কখনও বিভীষণ এসে রামকে বলছেন, দাদার দলে থেকে কাজ করতে পারছিলাম না। বা ‘জটায়ুর ফেলুদা-শিবির ত্যাগ’ বলে মিম হচ্ছে। লালমোহনবাবুর মগনলাল মেঘরাজের দলে ‘কারিয়াকর্তা’ (কার্যকর্তা) হওয়ার ঝোঁক দেখা যাচ্ছে।
বেসুরে বাজার প্রবণতা নিছকই সাম্প্রতিক নয়। বাম রাজনীতির ভিতরেও মতাদর্শের লড়াই হয়েছে। দল, উপদল হয়েছে। ব্যক্তির ছায়া পড়েছে। বাঙালির সাংস্কৃতিক জীবনেও তার ছাপ পড়েছে। তা-বলে দল ছেড়ে অন্য মতাদর্শে হাত মেলানোর ঘটনা কম। এখন লাল পতাকা ছেড়ে মমতা-বিরোধিতায় গেরুয়া হচ্ছেন কোনও কোনও বামপন্থী। মুকুল রায়রা বলছেন, দল ভাঙানো রাজনীতির অঙ্গ।
আর রাজ্য দেখছে, নতুন নাটক। প্রায় ফি দিন, কেউ মাইক্রোফোন হাতে বলে উঠছেন, ‘‘দলে থেকে কাজ করতে পারছিলাম না।’’