ভেকধারী সরকারের ফেকধারী বাজেট, উত্তরবঙ্গ উৎসবের মঞ্চ থেকে বললেন মমতা
আজ উত্তরবঙ্গ উৎসবের উদ্বোধন করে ৪ দিনের সফর শুরু করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সূচনা অনুষ্ঠানেই বাজেট নিয়ে মুখ খুললেন তিনি। তীব্র আক্রমণ করলেন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে।
বাজেটে বিমা ক্ষেত্রে ৭৪ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগে ছাড় দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘এরা সব বিক্রি করে দেবে। সমস্ত সরকারি ক্ষেত্র বিক্রি করে দেবে, এক দিন গোটা দেশকেই বিক্রি করে দেবে। ব্যাঙ্ক থেকে বিমা, রেল, সেল, ভেল— সবই বেচে দেবে।’’ সাধারণ মানুষের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়ে দেন, ‘‘এর পর আপনারা বিমার টাকা পাবেন তো?’’
কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত জাতীয় সড়ক সংস্কারের কাজে বিপুল বরাদ্দ করেছেন নির্মলা। কিন্তু ভোটের মুখে এসে এই সিদ্ধান্ত কেন, তা নিয়ে কেন্দ্রকে আক্রমণ করে মমতা বলেন, ‘‘এখন ভোটের সময় এসে রাস্তা করবেন? দরকার নেই। পশ্চিমবঙ্গের সব রাস্তা আমি করে দেব। তার চেয়ে দিল্লিতে কৃষকরা রাস্তায় বসে আছেন। রাস্তার জন্য বরাদ্দা টাকা তাঁদের দিন। আমি গ্রাম বাংলার সব রাস্তা করে দেব।’’
বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমেই মমতা রওনা হয়ে যান বাঘাযতীন পার্কের উদ্দেশে। উৎসবের মঞ্চেই উত্তরবঙ্গের ৯ জন কৃতিকে বঙ্গরত্ন পুরস্কার দেন তিনি। একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস করেছেন তিনি। এ ছাড়া মেখলিগঞ্জে তিস্তা নদীর উপর রাজ্যের দীর্ঘতম সেতু ‘জয়ী’ সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেবেন মমতা। কামতেশ্বরী সেতু এবং নিশিগঞ্জে একটি দমকল কেন্দ্রও উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। আরও অনেকগুলি প্রকল্প মুখ্যমন্ত্রীর হাতেই প্রাণ পেল এই সফরে।মেখলিগঞ্জে রাজ্যের দীর্ঘতম সেতু ‘জয়ী’ উদ্বোধন করেন।সব মিলিয়ে উত্তরবঙ্গের জন্য উন্নয়নের ডালি সাজিয়ে আনছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এর পাশাপাশি আরও কর্মসূচি আছে তাঁর। ফালাকাটায় গণবিবাহের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
উত্তরবঙ্গ উৎসবের উদ্বোধনে তাঁর বক্তব্যের সারাংশ:
• মাত্র ৬-৭ বছর সময় পেয়েছি, ৪৩টা মাল্টি সুপারস্পেশালিটি হাসপাতাল, ৩৪টা বিশ্ববিদ্যালয় করেছি
• মনে রাখবেন, আগে উত্তরবঙ্গকে কেউ গুরুত্ব দিতেন না, কিন্তু আমি উত্তরবঙ্গ, দক্ষিণবঙ্গ এক নজরে দেখি, মাঝে মধ্যেই উত্তরবঙ্গে আসি
• তা হলে কলকাতা কেন একটা রাজধানী হবে না? এমনি এমনি বলিনি, ঐতিহাসিক কারণ আছে বলেই বলেছি
• সারা বাংলা আজ গোটা দেশের ভবিষ্যৎ, সারা বিশ্ব বাংলার দিকে তাকিয়ে
• রেশন কার্ড আগে যা ছিল, তার পর ডিজিটাল করা হয়েছে
• প্রতিদিন দেড় লক্ষের বেশি স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করানো যাচ্ছে না
• আমি বাচ্চাদের ট্যাব কেনার টাকা দিয়ে দিলাম, কারণ ৯ লক্ষ ট্যাব এক বারে পাওয়া যাচ্ছিল না
• আপনারা দেখছেন, আমরা কী ভাবে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড কী দ্রুতগতিতে করছি
• এরা গোটা দেশকেই বিক্রি করে দেবে
• বলছে প্রথম পেপারলেস বাজেট, ওই সব কাগজ কোথায় লুকিয়ে দেবে, কেউ খুঁজে পাবে না
• বলছে গ্রামীন রাস্তা বানাবে, আমার দরকার নেই, গ্রামে সব রাস্তা হয়ে গিয়েছে
• বাংলায় রাস্তা বানাতে হবে না, রাস্তা আমি করে দেব
• রাস্তা বানাতে হবে না, যাও কৃষকরা আন্দোলনে বসে আছে, তাঁদের কথা শোন, এই রাস্তা বানানোর টাকা তাঁদের দিয়ে দাও