চকোলেট বিস্কুটের কাপে চা খেতে চান?
চা প্রেমী মানুষের কোনও অভাব নেই। সকালে ঘুম ভাঙার পর চা, বিস্কুট ছাড়া যেন অন্য কোনও কথা ভাবতেই পারেন না তাঁরা। চায়ের স্বাদ খুব ভাল হলে ভাঁড় কিংবা কাপের তলানিতে সামান্য ফেলে রাখার কথা ভুলে যান কোন কোনও চা প্রেমী।
আচ্ছা ভাবুন তো চা খাওয়ার পর যদি কাপটাও খেয়ে নেওয়া যেত, তবে কেমন হত? ব্যাপারটা বুঝতে পারছেন না তাই তো? ভাবছেন এ আবার কেমন প্রশ্ন? এমনই এক দোকানের সন্ধান দেব আপনাকে। যেখানে গিয়ে শুধু চা নয়। চায়ের সঙ্গে অনায়াসে খেতে ফেলতে পারবেন কাপও।
আর এস প্যাথি নীলগিরি টি স্টল, মাদুরাইয়ের এই চায়ের দোকানের পথচলা শুরু হয়েছে ১৯০৯ সালে। বাজারচলতি দামে ভাল বিক্রির সুবাদে শুরু থেকে বহু মানুষ ভিড় জমান চায়ের দোকানে। আর পাঁচটা দোকানের মতো মাটির ভাঁড় আর নয়তো প্লাস্টিক কিংবা কাগজের কাপেই চা দেওয়া হত ক্রেতাদের।
তবে গত বছর অক্টোবর থেকে প্লাস্টিক বর্জনের হিড়িক শুরু হয়। পরিবেশ রক্ষার কথা মাথায় আসে দোকানের বর্তমান মালিক বিবেকের। তিনিই ব্যতিক্রমী চিন্তাভাবনা শুরু করেন। ভাবতে শুরু করেন চকোলেট বিস্কুটের তৈরি কাপে চা পরিবেশন করলে কেমন হয়?
ব্যস! যেমন ভাবনা তেমন কাজ। তারপর থেকে সফটির মতে চকোলেট কোনের পরিবর্তে চকোলেট বিস্কুটের কাপে চা পরিবেশন করা শুরু হল।
ব্যতিক্রমী প্রয়াস মন ছুঁয়ে যায় ক্রেতাদের। ৬০ মিলিলিটার চা ধরে ওই চকোলেট বিস্কুটের কাপে। যার দাম ২০ টাকা। সেই চায়ের কাপে ঠোঁট ভেজানো উষ্ণতার খোঁজে বহু মানুষই ভিড় জমান দোকানে। চা খাওয়ার পর কাপও দিব্যি খেয়ে নেন তাঁরা। চকোলেটের কাপ
ক্রেতাদের মন জয় করে নেওয়ার পর এবার অন্য ফ্লেভারের কাপের কথাও ভাবতে শুরু করেছেন বিক্রেতা। বর্তমানে নেটদুনিয়ায় ভাইরাল চকোলেট বিস্কুটের কাপ। দোকানির বুদ্ধির প্রশংসা করছেন প্রত্যেকে। পরিবেশের কথা ভেবে সকলেই এমন ছোট ছোট উদ্যোগ নিন, বলছেন পরিবেশপ্রেমীরা।