দক্ষিণবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

রান্না করছেন মুখ্যমন্ত্রী, ছবি দেওয়া ফ্লেক্স লাগিয়ে দাদা – বৌদি হোটেলের রমরমা

February 4, 2021 | 2 min read

ডিসেম্বরে বোলপুর(Bolpur) সফরে এসে আচমকা হোটেলে ঢুকে রান্নায় হাত লাগান খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। সেই স্মৃতি মনে করে আজও শিহরিত হন সোনাঝুরির(Sonajhuri) দাদা-বউদি হোটেলের (Dada Boudi Hotel) মালিক বাবু বাগদি(Babu Bagdi) ও মেনকা বাগদি(Menoka Bagdi)। ওই এলাকায় এমনিতেই জনপ্রিয় ওই হোটেল। তবে মুখ্যমন্ত্রীর পদধুলি পড়ার পর থেকে রাতারাতি প্রচারের আলোয় চলে আসে দাদা-বউদির হোটেল। এবার মুখ্যমন্ত্রীর রান্নার ছবি ফ্লেক্সে(Flex) ছাপিয়ে প্রচার শুরু করল তারা। নতুন এই ভাবনাকে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয় ক্রেতা ও বাইরে থেকে আগত পর্যটকরাও। 
বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রী থেকে পর্যটকরা সোনাঝুরি এলাকায় ঘুরতে গেলে দাদা-বউদির হোটেলে চায়ের আড্ডা মাস্ট। বর্ষায় ঝমঝম করে বৃষ্টি হোক বা শীতের অলস দুপুর, পাশেই খড়ের ছাউনি করা একটি চালায় জমিয়ে আড্ডা দিতে দেখা যায় স্থানীয় যুবক-যুবতীদের। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী এসে রান্না করার পরেই আলোচনায় উঠে এসেছে এই হোটেল। মালিক বাবু বাগদি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী আসার পর থেকে দোকানের মান অনেক বেড়ে গিয়েছে। আমাদের দু’জনকেই এখন সবাই বেশ খাতির করে। তাই মুখ্যমন্ত্রী আসার স্মৃতি ধরে রাখতে সেদিনের ছবি ফ্লেক্স করে দোকানের সামনে টাঙিয়েছি। কারণ এটা আমাদের কাছে সারা জীবনের অন্যতম স্মরণীয় একটা মুহূর্ত।
প্রসঙ্গত, বোলপুর সফরে এসে বল্লভপুরডাঙায় আদিবাসী পাড়ায় আচমকা পরিদর্শন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই গ্রামে ঢোকার মুখেই রয়েছে দাদা-বউদির হোটেল। আদিবাসীদের সঙ্গে কথা বলার পর মুখ্যমন্ত্রীর সটান ঢুকে পড়েন সেখানে। অন্যান্য দিনের মতোই ক্রেতাদের জন্য তরকারি রান্না করছিলেন মেনকা বাগদি। মুখ্যমন্ত্রীকে নিজের দোকানে আসতে দেখে চমকে ওঠেন। মেনকাদেবী বলেন, আমাদের মতো সাধারণ দোকানে মুখ্যমন্ত্রী আসবেন, স্বপ্নেও ভাবিনি। কিন্তু তিনি যেভাবে এসে এত সুন্দর কথাবার্তা বললেন সারাজীবন মনে থাকবে। পাশাপাশি নিজে খুন্তি চেয়ে যেভাবে রান্নার জোগাড় করলেন আমি তো দেখে অবাক। এটা আমাদের কাছে পরমপ্রাপ্তি। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কী কথা হয়েছে, এখনও তা ভেবে চমকে উঠি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন একটা সময় খুব রান্না করতাম, হাত ভেঙে যাওয়ার পরে আর খুন্তি নাড়তে বেশি পারি না। কষ্ট হয়। রান্নায় কাঁচা লঙ্কা দাও, ভালো স্বাদ হবে। কথাগুলি এখনও আমার কানে বাজে। সেদিন দিদির হাতের জাদুতে রান্নাও হয়েছিল দারুণ। ক্রেতাদের খাওয়ানোর পাশাপাশি নিজেরাও খেয়েছি সেই তরকারি। তাই নতুন যে ক্রেতারা আসছেন দোকানে, ফ্লেক্সে সেই ছবি দেখে জিজ্ঞাসা করলে তাঁদের সঙ্গে সেদিনের অভিজ্ঞতার কথা আনন্দের সঙ্গে ভাগ করে নিচ্ছি। তবে ফ্লেক্স টাঙানো নিয়ে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা আশা করি কেউ কিছু মনে করবেন না। এমনটাই বলেন বাবু বাগদি। তিনি বলেন, আমরা সাধারণ মানুষ। যিনি এসেছিলেন, তিনি যে দলেরই হন আদতে তাঁর পরিচয় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এটা আমার কাছে অত্যন্ত গর্বের। তাঁদের দোকানে এসে চায়ের চুমুক দিয়ে বিশ্বভারতীর স্থানীয় পড়ুয়া সোনালি মিশ্র, সম্রাট মণ্ডল বলেন, আমরা নিয়মিত দাদা-বউদির দোকানে আসি। ভাবতে ভালো লাগে যেখানে আড্ডা গল্প করি, সেই দোকানে মুখ্যমন্ত্রী এসেছিলেন। তাঁর ছবির ফ্লেক্স দেখেও ভালো লাগল।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#flex, #Sonajhuri, #Dada Boudi Hotel, #Mamata Banerjee

আরো দেখুন