বাজারে বাংলার নতুন পেঁয়াজ, কমছে দাম
রাজ্যে উৎপাদিত নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করায় দাম কমতে শুরু করেছে। বাংলার (West Bengal) পেঁয়াজ এখন পাইকারি বাজারে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। খুচরো বাজারে দাম ৪০ টাকার আশপাশে। সুফল বাংলার স্টলে বাংলার সুখসাগর পেঁয়াজ (Onion) ৩৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম অবশ্য কিছুটা বেশি। পাইকারি বাজারে তার দাম ৪০ টাকা। খুচরো বাজারে দাম ৫০ টাকার আশপাশে। কৃষি বিপণন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলায় উৎপাদিত পেঁয়াজ বাজারে যত বেশি পরিমাণে ঢুকবে অন্য রাজ্য থেকে আমদানি বা সরবরাহ তত কমবে। কারণ দামের লড়াইয়ে ভিন রাজ্যের পেঁয়াজ হার মানবে। তবে এই সময় বাজার ধরে রাখার জন্য মহারাষ্ট্রের ব্যবসায়ীরা লোকসান করে কিছু পরিমাণ পেঁয়াজ পাঠিয়ে থাকেন।
আবহাওয়া অনুকূল থাকায় রাজ্যে এবার পেঁয়াজের বাম্পার ফলনের আশা আছে। গত কয়েক বছরের মধ্যে পেঁয়াজের ফলন অনেকটা বেড়েছে। চাষ বাড়ানোর জন্য রাজ্য সরকার নানাভাবে উৎসাহিত করেছে চাষিদের। তাতে সুফল মিলছে। রাজ্যে এখন ৬ লক্ষ টনের বেশি পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। যার বেশিরভাগটা ওঠে শীতের এই সময়ে। বর্ষাকালীন পেঁয়াজের চাষ তুলনায় অনেক কম। বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী জুন-জুলাই পর্যন্ত বাংলার বাজারে চাহিদার বেশিরভাগটা মেটায় স্থানীয় ফলন। আরও বেশি সময় ধরে রাজ্যের পেঁয়াজ ব্যবহার করা যেত যদি সংরক্ষণের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকত। এতে চাষিরা ভালো দাম পেতেন। এখন ফলন বেশি হলে চাষিরা (Farmers) অনেক সময় খুব লাভজনক দাম পান না। কৃষি বিপণন দপ্তর সূত্রের খবর, সংরক্ষণের ব্যবস্থা পর্যাপ্ত না-হওয়ায় রাজ্যে উৎপাদিত পেঁয়াজের একটা অংশ বাংলাদেশে চলে যায়। সরকারিভাবে বিদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি এখনও বন্ধ। কিন্তু বাংলাদেশে পেঁয়াজের চাহিদা থাকায় চোরাপথে এই কারবার চলে। বাংলাদেশে বেআইনি চালান হওয়ার ফলে চাষিরা কিছুটা দাম পান। তা নাহলে দাম আরও পড়ে যেত। রাজ্যে নতুন পেঁয়াজ ওঠার পর ভিন রাজ্যেও তার কিছুটা যায়।