দেশ বিভাগে ফিরে যান

দিল্লি সীমানায় পিছু হটছে পুলিস

February 5, 2021 | 2 min read

চাপের মুখে দিল্লি সীমানায় কিছুটা পিছু হটল পুলিস। কৃষকদের দিল্লিতে প্রবেশ আটকাতে দু’দিন আগে যেভাবে রাস্তা জুড়ে পেরেক পুঁতে দিয়েছে পুলিস, বৃহস্পতিবার তাও কিছুটা সরানো হয়েছে। যদিও দিল্লি পুলিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘নিরাপত্তা ব্যবস্থা আগের মতোই রয়েছে। তাতে কোনও ঢিলে দেওয়া হচ্ছে না। শুধুমাত্র পেরেকের অবস্থান সীমানার অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’ এদিন দিল্লি-উত্তরপ্রদেশের গাজিপুর (Gazipur) সীমানায় এই ঘটনাকে নিজেদের জয় হিসেবেই দেখতে চাইছেন বিক্ষোভরত কৃষকরা। বলছেন, ‘কৃষকদের ক্ষোভ (Farmers Protest) যেভাবে দিনের পর দিন বাড়ছিল, তাতে এই পদক্ষেপ করতে বাধ্য হয়েছে সরকার।’ দিল্লি সংলগ্ন সীমানাগুলিতে চাষিদের আটকাতে কার্যত আন্তর্জাতিক সীমান্তের মতোই কড়াকড়ি করছে পুলিস। প্রশাসনের বিরুদ্ধে লাগাতার এই অভিযোগ উঠছে। এই পরিস্থিতিতে আচমকাই পুঁতে দেওয়া পেরেক ও গজাল সরানোকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইন (Farm Laws) বাতিলের দাবিতে বৃহস্পতিবারও অনড় ছিলেন কৃষকরা। দিল্লি-হরিয়ানার সিংঘু সীমানা, দিল্লি-রোহতক করিডরের তিক্রি সীমানা, দিল্লি-উত্তরপ্রদেশের গাজিপুর সীমানায় দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে কৃষক বিক্ষোভ। এদিনও দিল্লির সীমানা জুড়ে কড়া পুলিসি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। একাধিক সীমানা এলাকা এবং তার সংলগ্ন রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে পুলিস। বেড়েছে যানজট। কেন্দ্র-বিরোধী বিক্ষোভের সুর আরও চড়িয়ে এদিন সীমানাগুলিতে ‘গদি ওয়াপসি’র দাবি তুলেছেন আন্দোলনকারীরা। বলেছেন, ‘কানুন ওয়াপসি নেহি তো ঘর ওয়াপসি নেহি। লেকিন কানুন ওয়াপসি নেহি তো গদি ওয়াপসি জরুর।’ আইন বাতিল না করলে ঘরে ফিরব না। কিন্তু আইন প্রত্যাহার না করলে গদি অবশ্যই ছাড়তে হবে। অবস্থানে অনড় থেকে ক্রমাগত বিক্ষোভরত কৃষকদের হুমকি-হুঁশিয়ারিতে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

এদিন ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের (Bhartiya Kishan Union) নেতা রাকেশ টিকায়েত বলেছেন, ‘শনিবার দেশ জুড়ে জাতীয় এবং রাজ্য সড়কে যে চাক্কা জ্যাম করা হবে, তাতে বহু মানুষই আটকে পড়বেন জানি। আমরা তাঁদের প্রত্যেকের কাছে খাবার এবং জল পৌঁছে দেব। তাঁদের বোঝাব, কেন ওই তিনটি আইন বাতিল করা জরুরি। সরকার আমাদের সঙ্গে কী করছে, তাও জানাব। সাধারণ মানুষ আমাদের পাশে না দাঁড়ালে এই লড়াই জিততে পারব না।’ দিল্লির সীমানায় ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হলেও এদিন সীমানাগুলিতে কৃষকরা অভিযোগ করেছেন যে, আগের মতো কাজ করছে না ইন্টারনেট। অনেক সময় সামান্য নেটওয়ার্কও মিলছে না। তবে কৃষক বিক্ষোভের জেরে হরিয়ানার দুটো জেলায় ফের আজ, শুক্রবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ইন্টারনেট এবং এসএমএস পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। শনিবারের কর্মসূচিতে যোগ দিতে আজ, শুক্রবার দিল্লির সীমানাগুলিতে একাধিক কৃষক মিছিল প্রবেশ করতে চলেছে বলে জানিয়েছে কিষান মোর্চা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Farmer Protest, #Delhi Police

আরো দেখুন