তপন সিন্হার ছবির কথা মনে করিয়ে ব্রাত্যর দাবি, দেশে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে
কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে গ্রেটা থুনবার্গ, রিহানাদের টুইটের বিরুদ্ধাচরণ করে যেভাবে ভারতীয় তারকাদের একাংশ টুইট করেছেন, সেই বিষয়ে আজ কটাক্ষ করেন মন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। তাঁর প্রশ্ন, এক ভাষায় কি করে এরা টুইট করছেন! এদের মধ্যে কেউ হাসপাতালে ভর্তি বা অসুস্থ।
এদিন তিনি বলেন, “কঙ্কনার উত্তর আমাকে তপন সিনহার আতঙ্ক ছবির কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। কিংবদন্তী দীপঙ্কর দেও ছিলেন সেই ছবিতে। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে বলা সেই কথা ‘মাস্টার মশাই আপনি কিন্তু কিছু দেখেননি’। কঙ্কনা সেই আতঙ্কের কথা তুলে বলেছেন, তারকাদের টাকা দিয়ে কেনা যায় না। তাহলে কি তাদের ভয় দেখানো হচ্ছে? কোন হিমেল ভয় কি শিরদাঁড়া দিয়ে নেমে গোটা শরীরকে শীতল করে দিচ্ছে তারকাদের? মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে কি টুইট করানো হচ্ছে?”
তাঁর বক্তব্য, ‘গ্রেটা থুনবার্গের মতো গোটা বিশ্বে পরিচিত পরিবেশকর্মীরা কৃষক আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানাচ্ছেন। কেন্দ্রীয় সরকার তারকাদের ভয় দেখাচ্ছে। আমার পাশে বসে থাকা তারকারা জানেন এই ভয় থেকে পরিত্রাণের একমাত্র রাস্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গে এখনো সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলা যায়, কারণ এখানে গণতন্ত্র আছে। অন্য কোথাও সরকারের বিরুদ্ধে বললে কি হয় তা ভারভারা রাও, আনন্দ তেলতুম্বে, জেএনইউ- র পড়ুয়ারা, জেলে পচতে থাকা হাজার হাজার কর্মীরা জানেন’।
উল্লেখ্য, এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে দলে যোগদান করেন প্রখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী রসিদ খানের কন্যা সঙ্গীত শিল্পী এবং সমাজকর্মী সাওনা খান, কিংবদন্তী অভিনেতা দীপঙ্কর দে, ভরত কল, লাভলি মৈত্র। ব্রাত্যবাবু তাঁদের হাতে দলের পতাকা তুলে দেন। মন্ত্রী জানান, জেলায় জেলায় প্রচুর যুবক- যুবতী তৃণমূল কংগ্রেসে (Trinamool Congress) যোগদান করতে চাইছে এবং দল জেলায় জেলায় যোগদানের কর্মসূচি নিয়েছে।