সংখ্যালঘু হিন্দুদের কথা ভাবেনি বিজেপি, দাবি কাশ্মীরি পণ্ডিত ভরত কলের
কাশ্মীরি পণ্ডিত বংশের সন্তান। নিজেকে ‘সংখ্যা লঘু হিন্দু’ বলে দাবি করা ভরত কল (Bharat Kaul) শুক্রবার যোগ দিলেন তৃণমূলে। ২ বছর আগে কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন এই অভিনেতা। শুক্রবার তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় তাঁকে নিয়ে চর্চা নানা মহলেই।
কেন তৃণমূলে? শুক্রবার সংবাদমাধ্যমের তরফে করা এই প্রশ্নের উত্তরে অভিনেতার বক্তব্য, ‘‘আমি কংগ্রেস পরিবারের ছেলে। তৃণমূল এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনেক দিন ধরেই সমর্থন করি। সক্রিয় রাজনীতিতে আসাটা কাজ করার জন্য।’’
২ বছর আগে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার পর কি কোনও পরিবর্তন হয়েছে? ভরতের সাফ জবাব, ‘‘রাজনীতির স্বার্থে কাশ্মীরকে কাজে লাগিয়েছে বিজেপি-শাসিত কেন্দ্রীয় সরকার।’’ তাঁর দাবি, এই ২ বছরে তাঁর পরিবারের তো বটেই, পরিচিত একজন কাশ্মীরি পণ্ডিতও শ্রীনগরে নিজের পুরনো বাড়ি ফিরে যেতে পারেননি। ‘‘হিন্দু হয়েও আমরা কাশ্মীরে সংখ্যালঘুই ছিলাম। আমাদের জন্য কী করেছে এই কেন্দ্রীয় সরকার?’’, প্রশ্ন তাঁর।
বিজেপির নীতির সঙ্গে মোটেই একমত নন বলে দাবি করে ভরতের বক্তব্য, ‘‘কে কী খাবেন, তা নিয়ে রাজনীতি আগে হত না। আমি কাশ্মীরি ব্রাহ্মণ হয়ে বলছি, কে কী খাবেন, সেটা তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। কোনও খাবার আমার পছন্দ না-ই হতে পারে। কিন্তু সেটা নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করার অধিকার কারও নেই।’’
রাজনীতির কারণে টলিউডে ভাঙন ধরেছে। রুদ্রনীল ঘোষ, লকেট চট্টোপাধ্যায় যেমন একদিকে, অন্যদিকে দেবলীনা দত্ত, সায়নী ঘোষেরা। এই সময় রাজনীতির কারণে কি কোনও বন্ধুবিচ্ছেদ হয়েছে? ভরতের জবাব, ‘‘একেবারেই না। সকলেই আগের মতো বন্ধুই আছেন। কিন্তু রুদ্রনীলের মন্তব্য খুবই অবমাননাকর। দেবলীনার মায়ের প্রসঙ্গে তোলাটা একেবারেই উচিত হয়নি।’’
আগামী দিনে ভোটে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা আছে কি না জানতে চাওয়া হলে ভরত বলছেন, এখনই তেমন কিছু ভাবেননি। ‘‘এই সিদ্ধান্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আমার শুধু একটা মাধ্যম দরকার ছিল, যেখান থেকে কাজ করতে পারি। তাই তৃণমূলে।’’ এই রাজ্য তাঁকে সব কিছু দিয়েছে, তাই কাশ্মীরি পণ্ডিত বংশের সন্তান হয়েও মনেপ্রাণে নিজেকে বাঙালি বলে ভাবেন তিনি। বাংলার হয়ে কাজ করতে চান বলেই তৃণমূল যোগদান, বলছেন অভিনেতা।