জয়নগরে তৈরি হবে মোয়া হাব, পরিদর্শনে সাংসদ
রপ্তানি বাণিজ্যে গুণগতমান বজায় রাখতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে প্যাকেটবন্দি হবে জয়নগরের মোয়া (Jaynagarer Moa)। মোয়া হাব তৈরি করে প্যাকেজিং-এর জন্য অত্যাধুনিক কয়েক কোটি টাকার মেশিনপত্র বসানোর চিন্তাভাবনা পাকা। সেই হাব (Sweet Hub) তৈরির জন্য জয়নগর-মজিলপুর পুরসভার বরাদ্দ জায়গা দেখতে শনিবার পরিদর্শনে এলেন জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল নস্কর। ছিলেন পুরসভার প্রশাসক সুজিত সরখেল, রাজ্য সরকারের খাদি ও গ্রামীণ শিল্প উন্নয়ন পর্ষদের দুই প্রতিনিধি, জেলা পরিষদ সদস্য জিয়াউল হক সহ অন্যরা। জয়নগরের মিত্রগঞ্জ এলাকায় দু’টি ঘর এই হাব নির্মাণের জন্য দেখা হয়েছে। এদিন সাংসদ সহ অন্যরা জায়গাটির সঙ্গে পরিবহণ সংযোগের ব্যবস্থাও খতিয়ে দেখেন। পুর প্রশাসকের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করেন সাংসদ।
এর আগে বহড়ুতে জয়নগর ১ নম্বর ব্লক অফিসে এই ব্যাপারে একটি বৈঠকও হয়। বিডিও সহ মহকুমার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট, পুর প্রশাসক, সাংসদ তাতে অংশ নেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঐতিহ্যবাহী এই মিষ্টান্নের জনপ্রিয়তা ক্রমেই বাড়ছে দেশ-বিদেশে। আমেরিকা, কানাডা, ব্রিটেন, সৌদি আরব সহ একাধিক দেশে ভালোই রপ্তানি হচ্ছে মোয়া। সেজন্য কয়েক কোটি টাকার আধুনিক মেশিন বসানোর চিন্তাভাবনা হয়েছিল আগেই। কিন্তু বিভিন্ন জটিলতার কারণে তা পিছিয়ে যায়। জমি চিহ্নিত হলেও ঘর নির্মাণের কাজ ব্যাহত হচ্ছিল। পরে পুর প্রশাসক ও সাংসদের উদ্যোগে জটিলতার অবসান হয়।
সাধারণ প্যাকেটে মোয়া ভালো থাকে চার-পাঁচ দিন। কিন্তু উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর প্যাকেটে সেই মোয়া থাকতে পারে কয়েক সপ্তাহ। এদিন সাংসদ বলেন, অনেকদিন আগে থেকেই এই চেষ্টা ছিল। আমাদের হাজার স্কোয়্যার ফুট দরকার। কিন্তু এখানে ১১০০ স্কোয়্যার ফুট পাওয়া গিয়েছে। ইতিমধ্যেই ১ কোটি ২৪ লাখ টাকার মেশিনও বরাদ্দ হয়েছে। অতি দ্রুত যাতে এই কাজ শুরু হয়, তা দেখা হবে। পুর প্রশাসক সুজিত সরখেল বলেন, মোয়া শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার জন্যই এই চেষ্টা। এর সঙ্গে খুব তাড়াতাড়ি জয়নগর, বহড়ু এলাকাতে ২ হাজার খেজুর গাছও বসানো হবে ভালো গুড়ের জোগানের জন্য।