কৃষক আন্দোলন নিয়ে মন্তব্য, সচিনকে পরামর্শ পাওয়ারের
এনসিপি প্রধান ও প্রাক্তন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট শরদ পাওয়ার (Shrad Pawar) শনিবার ক্রিকেট লেজেন্ড সচিন তেন্ডুলকরকে (Sachin Tendulkar) উদ্দেশ্য করে আবেদন করলেন৷ পৃথিবী জোড়া তাবড় সেলিব্রিটে ভারতে কৃষক আন্দোলনের পক্ষে ট্যুইট করছেন যে তালিকায় রয়েছেন রিহানার মতো তারকা৷ এর উত্তরে ট্যুইট করে সচিন তেন্ডুলকর জানিয়েছেন এটা ভারতের আভ্যন্তরীন মামলা৷ এরপর আসরে নামলেন শরদ পাওয়ার ৷ তিনি সচিনকে সতর্কবার্তা জানিয়েছেন, ‘অন্য ক্ষেত্রের বিষয়ে যখন কথা বলবেন তখন একটু সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত৷ ’
পাওয়ার মন্তব্য দিন কয়েক বাদে এল৷ যখন তেন্ডুলকর ভারতীয় বলিউড অভিনেতাদের সুরে সুর মিলিয়েছিলেন৷ রিহানার ট্যুইটের পর গোটা দেশ জুড়ে একটা বিপরীত ক্রিয়া শুরু হয়৷ অভিনেতা, রাজনীতিবিদ ও খেলোয়াড়রা ভারতের আভ্যন্তরীন সমস্যায় বাইরের মত গ্রহণ করতে নারাজ ছিলেন৷
রিহানার মন্তব্য কৃষক আন্দোলনকে বৃহত্তর ভাবে পৃথিবীর কাছে পৌঁছে দেয়৷ পাওয়ার সংবাদ সংস্থা ANI কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ‘অনেকেই ভারতীয় তারকাদের অবস্থান নিয়ে যা কথা বলেছেন তাতে অনেকেই তাঁদের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছেন৷ আমি সচিনকে পরামর্শ দেব অন্য কোনও বিভাগের বিষয়ে কথা বললে তা নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে৷ ’
পাওয়ার এর আগেই কেন্দ্রের মন্তব্যে প্রতিবাদ করেছেন৷ কেন্দ্র যে কৃষক আন্দোলনকে খালিস্তানি ও জঙ্গি বলায় তা নিয়ে মন্তব্য করেন৷ পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, ‘যা প্রতিবাদ করছে তাঁরা কৃষক, তাঁরা আমাদের খাওয়ান, তাঁদের খালিস্তানি বা জঙ্গি বলা ঠিক নয়৷ ’ ইউপিএ সরকারের আমলে শরদ পাওয়ার কৃষি মন্ত্রী ছিলেন৷
বিজেপি-র সাংসদ মীনাক্ষী লেখি -র ট্যুইট আসে৷ তিনি লেখেন, ‘উপদেশ দিচ্ছেন মিঞা খালিফা, রিহানা, গ্রেটা থানবার্গের কী রকম অনুভূতি হচ্ছে ! আমি ভাবছিলাম জানি অথচ বলতে পারছি না৷ তিনি প্রাক্তন কৃষি মন্ত্রী যিনি APMCs র সঙ্গে কাজ করতেন এবং কৃষি আইনে পরিবর্তনের বিষয়ে চিঠি লিখেছিলেন৷ ’
ডিসেম্বর মাসে তাঁর পুরনো একটি চিঠি বার করে বিজেপি তাঁকে আক্রমণ করে ,যেখানে তিনি কৃষি সেক্টরে বদল আনার কথা বলেছিলেন এবং সেখানে ব্যক্তিগত উদ্যোগপতিদের আসার কথা বলেছিলেন৷ বিজেপি পাওয়ার দ্বিচারিতা নিয়ে সরব হয়৷
কৃষি আইন নিয়ে দিন কয়েক আগেই বর্তমান কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার একেবারে সরাসরি ট্যুইট যুদ্ধে নামেন৷
রিহানার ট্যুইটের পর সচিন তেন্ডুলকর ট্যুইট করে জানিয়েছিলেন, ভারতের সার্বভৌমত্ব কোনও ভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে না৷ বাইরের শক্তি দর্শক হতে পারে কিন্তু অংশগ্রহণকারী নয়৷ ভারতীয়রা ভারতকে জানে তারাই দেশের জন্য সিদ্ধান্ত নেবে৷ সবাই একত্রিত হয়ে থাকুন এক দেশের জন্য৷ ’