কোচবিহার আসছেন শাহ, টানা কর্মসূচি তৃণমূলের
১১ ফেব্রুয়ারি কোচবিহারে(Coochbehar) বিজেপির(BJP) পরিবর্তন যাত্রা(Paribartan Jatra), জনসভা ও রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়তে শুরু করেছে। পরিবর্তন যাত্রায় অংশ নিতে এই প্রথম কোচবিহার আসছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ(Amit Shah)। আর তার আগেই রবিবার জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেস(TMYC) ঘোষণা করে, অমিত শাহ থাকাকালীন পরিবর্তন যাত্রার দিন কোচবিহারের শহরের বিভিন্ন রাস্তায় ক্যাম্প করা হবে। দেখা হবে কোনও হিংসা বা বিদ্বেষ ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে কি না। তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছে, আগামী ৯ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি জেলাজুড়ে দলের বিভিন্ন শাখা সংগঠন লাগাতার নানা কর্মসূচি পালন করবে। এদিকে অমিত শাহের সভাকে সফল করতে এদিন কোচবিহারে আসেন বিজেপি নেতা অরবিন্দ মেনন, কিশোর বর্মন, দীপেন প্রামাণিক প্রমুখ। তাঁরা বিজেপির জেলা পার্টি অফিসে বৈঠক করেন।
জেলা তৃণমূলের সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেন, অন্য রাজনৈতিক দলের খোঁজ রাখি না। আমাদের কর্মসূচি আমরা চালিয়ে যাব। ৯, ১০ এবং ১১ ফেব্রুয়ারি আমাদের ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে। ১২ তারিখেও কয়েকটি জায়গায় পথসভা হবে। আমরা প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই রাজনৈতিক কর্মসূচিগুলি নিচ্ছি। বিজেপি পরিবর্তন যাত্রা করুক বা ওদের অন্তিম যাত্রা, সেসব নিয়ে আমরা ভাবি নই।
জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, বিজেপির রথযাত্রা হলে আমাদের আশঙ্কা হিংসা ছড়াতে পারে। তাই আমরা শহরের বিভিন্ন রাস্তায় ক্যাম্প করে বসে থাকব। কোথাও যদি হিংসা, বিদ্বেষ ছড়ানোর চেষ্টা হয় তা প্রতিরোধ করব। সশস্ত্র মিছিল হলে আটকাব।
বিজেপির জেলা সভানেত্রী মালতী রাভা বলেন, আমাদের কর্মসূচির দেখাদেখি ওরা কর্মসূচি নিয়েছে। তারমানে ওরা বুঝতে পেরেছে বিধানসভা ভোটে হেরে বসে আছে। আসলে ওরা হীনমন্যতায় ভুগছে।
আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য জেলায় আসবেন। তাঁর উপস্থিতিতে মাথাভাঙায় সংগঠনের সমাবেশ হবে। ওই দিন বিকেলে কোচবিহারের দেশবন্ধু মার্কেটের সামনে পথসভা করা হবে। ১০ ফেব্রুয়ারি কিষান খেত মজুর তৃণমূল কংগ্রেস প্রায় ৩৫ হাজার কৃষককে নিয়ে কৃষি আইনের প্রতিবাদে মিছিল করবে। লাঙল, জোয়াল কাঁধে নিয়ে সেই মিছিল করা হবে। মিছিলে বিধায়ক বেচারাম মান্না থাকবেন। ১১ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত গোটা রাজ্যের পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন ব্লকে কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবি নিয়ে সভা হবে। খাগড়াবাড়িতে অবস্থান বিক্ষোভ করা হবে। মহিলা ও ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে মহাত্মা গান্ধীর পাদদেশে অবস্থানে বসা হবে। এসসি, এসটি সেল ও যুবদের একাধিক কর্মসূচি রয়েছে।
অন্যদিকে, অরবিন্দ মেনন এদিন সকালে চায়ে পে চর্চা কর্মসূচিতে অংশ নেন। বিকেলে অমিত শাহের জনসভা স্থল রাসমেলা ময়দান দলীয় নেতাদের নিয়ে পরিদর্শন করেন।