ডেঙ্গি রুখতে তৎপর রাজ্য সরকার
উত্তরবঙ্গ(North Bengal) তথা রাজ্যজুড়ে ডেঙ্গি(Dengue) নিয়ে বাড়ি বাড়ি সমীক্ষায় তৎপর হল রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর(State Health Dept)। উত্তরবঙ্গের সব
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের এই সীক্ষার জন্য দ্রুত ফর্ম ছাপাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্য স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ দপ্তরের যুগ্মসচিব রূপম বন্দ্যোপাধ্যায় এক নির্দেশিকায় সমীক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন।
ওএসডি ডাঃ সুশান্ত রায় বলেন, ‘ডেঙ্গি নিয়ে বাড়ি বাড়ি সমীক্ষা প্রতি বছর নির্দিষ্ট সময়সূচি, মেনেই করা হয়। এবারও করা হবে। ভোট ঘোষণা হলেও স্বাস্থ্য দপ্তরের এই সমীক্ষার কাজ বাধাপ্রাপ্ত হবে না। স্বাস্থ্য দপ্তরের কাজ জরুরি পরিষেবার মধ্যে পড়ে। প্রত্যেক জেলায় এই সমীক্ষা করা হবে। মার্চের আগেই সমীক্ষা শুরু হওয়ার কথা।’
গত বছর জলপাইগুড়ি জেলায় ডেঙ্গিতে আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গেলেও মৃত্যুর কোনও খবর পাওয়া যায়নি। এমনকি উত্তরবঙ্গে ডেঙ্গিতে মৃত্যুর কোনও সরকারি পরিসংখ্যানও পাওয়া যায়নি। ন্যাশনাল ভেক্টর বর্ন ডিজিস কন্ট্রোল প্রোগ্রামের তরফে প্রকাশিত দেশজুড়ে ডেঙ্গির পরিসংখ্যান সংক্রান্ত তালিকায় এই রাজ্যের কলামে গত বছর এবং এই বছর ডেঙ্গিতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর পরিসংখ্যানের জায়গা ফাঁকা দেখানো হয়েছে৷
তবে এই বছর পশ্চিমবঙ্গে ডেঙ্গির পরীক্ষার জন্য কেন্দ্রীয় বিভাগ ১২০টি কিট বরাদ্দ করেছে। উত্তরবঙ্গে মোট ৬২ লক্ষ ৫০ হাজার ৪০৭ টি সমীক্ষার ফর্ম ছাপানো হবে, যার মধ্যে গ্রামাঞ্চলের জন্য প্রয়োজন ৩৮ লক্ষ ৯৪ হাজার এবং শহরাঞ্চলে ২৩ লক্ষ ৫৫ হাজার ফর্ম। শহর ও গ্রামাঞ্চল মিলিয়ে আলিপুরদুয়ার জেলায় ৬ লক্ষ ৭৭ হাজার ফর্ম লাগবে, কোচবিহার জেলায় ৮ লক্ষ ৫৭ হাজার, দক্ষিণ দিনাজপুরে ৬ লক্ষ ২৭ হাজার, কালিম্পংয়ে ২ লক্ষ ৪৬ হাজার, দার্জিলিং জেলায় ১৪ লক্ষ, জলপাইগুড়ি জেলায় ৫ লক্ষ ৯২ হাজার, মালদা জেলায় ১০ লক্ষ ৫৮ হাজার এবং উত্তর দিনাজপুর জেলায় প্রয়োজন ৭ লক্ষ ৭৯ হাজার ফর্ম। এই ফর্ম ছাপাতে উত্তরের জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরগুলিকে মোট ৩৩ লক্ষ ৫৪ হাজার টাকা খরচ করতে হবে।
গত বছর পুজোর আগে থেকে জেলার বিভিন্ন গ্রামে ডেঙ্গি নিয়ে বাড়ি বাড়ি সমীক্ষা শুরু হয়েছে, যা এখনও চলছে। কিন্তু শহরাঞ্চলে এখনও সমীক্ষা শুরু হয়নি। গত বছর করোনার জেরে বাড়ি বাড়ি সমীক্ষায় সমস্যা হয়েছিল। জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে, কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গেলেও বাসিন্দারা অনেক ক্ষেত্রে সহযোগিতা করেননি বলে অভিযোগ । এবার পরিবারের কারও জ্বর রয়েছে কি না, ডেঙ্গির কোনও উপসর্গ রয়েছে কি না, তাও নথিভুক্ত করা হবে এই সমীক্ষায়। কারও বাড়িতে জল জমে থাকলে তা কিভাবে পরিষ্কার রাখতে হবে, তাও বাসিন্দাদের জানিয়ে দেবেন সমীক্ষকরা।