ঝাড়গ্রামে শুভেন্দুর ছবিতে জুতোর মালা, পোড়ানো হল কুশপুতুলও
‘বেইমান’ নেতাকে হাতের কাছে পাওয়া যায়নি হাতের কাছে। তাই ক্ষোভ মেটাতে প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রীর ছবিতে লেপে দেওয়া হল কালি। পরানো হল জুতোর মালা(Shoe Garland)। আর শেষ পর্যন্ত কুশপুতুল(Effigy) পুড়িয়ে আক্রোশ মেটালেন ক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীরা। সোমবার এমনই বেনজির দৃশ্য দেখা গেল ঝাড়গ্রাম শহরে। অথচ মাস দুয়েক আগেও ঝাড়গ্রাম(Jhargram) সহ জঙ্গলমহলে তৃণমূলের(TMC) নিচুতলার কর্মী-নেতাদের কাছে কার্যত দেবতার আসনে ছিলেন শিশিরপুত্র। তাঁর বাক্যই ছিল শাসকদলের নেতা-কর্মীদের কাছে শেষ কথা। কিন্তু বরাবরই রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্খী হিসেবে পরিচিত শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেই ছবিটা বদলে গেল। একসময়ের নায়ক রাতারাতি খলনায়কে পরিণত হয়েছেন। তাঁর উপর ক্ষুব্ধ গোটা জঙ্গলমহলের তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। একসময়ে যাঁরা প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রীর নামে জয়ধ্বনি তুলতেন, এদিন তাঁরাই মুর্দাবাদ স্লোগান তুলেছেন। প্রাক্তন নেতার সম্পর্কে উগরে দিয়েছেন যাবতীয় ক্ষোভ। সেই ক্ষোভে অনেকটাই ছিল ঘৃণা ও কটাক্ষ।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই প্রাক্তন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেই ডোমজুড়ের তৃণমূল কর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁর ছবি সম্বলিত ফ্লেক্সে কালি লেপে দেওয়ার পাশাপাশি ছবিতে জুতোর মালাও পরিয়েছিলেন। এমনকী রবিবার নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রে গিয়ে তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল সদ্য গেরুয়াশিবিরে যোগদানকারীকে। রাজীবকে কালো পতাকাও দেখান ক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীরা। তবে এখনও পর্যন্ত তেমন বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়নি প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে। কেন্দ্রীয় সুরক্ষা বাহিনীর নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয় নিয়েই জেলার পর জেলা চষে বেড়াচ্ছেন তিনি। তবে এদিন ঝাড়গ্রামে যেভাবে তাঁর ছবিতে জুতোর মালা পরানো হল, তাতে ভোট প্রচার পর্বে বিভিন্ন জেলায় রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রীকে ফের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হতে পারে বলে ইঙ্গিত রাজনৈতিক মহলের।