‘খেলা’ হয়েছে বলেই নড্ডার সভায় ১,০০০-র বেশি লোক হয়নি: অনুব্রত
‘খেলা’ হয়েছে। আর তাতেই বীরভূমে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডার (JP Nadda) সভায় ১,০০০-এর বেশি লোক হয়নি। সদর্পে এমনটাই জানালেন বীরভূমের (Birbhum) তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)।
মঙ্গলবার তারাপীঠে পুজো দিয়ে ‘পরিবর্তন যাত্রা’-র সূচনা করেন নড্ডা। বীরভূমের চিলার ময়দানের সভাও করেন। কিন্তু সেই সভায় ১,০০০-এর বেশি লোক হয়নি বলে দাবি করেছেন অনুব্রত। বোলপুরে তৃণমূল কার্যালয়ে বসে মোবাইলে নড্ডার সভার ছবি দেখিয়ে অনুব্রত দাবি করেন, হেভিওয়েট নেতারা আসা সত্ত্বেও সভায় লোক টানতে ব্যর্থ হয়েছে বিজেপি। তৃণমূল (Trinamool) জেলা সভাপতির কথায়, ‘আজ মিটিং দেখে না যতক্ষণ প্লেনে করে দিল্লি করে যাবেন নড্ডা, সমানে (রাজ্যে বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস) বিজয়বর্গীয়কে গাল দিতে দিতে যাবেন।’ সঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, তৃণমূলের সভাপতি যদি নানুরে সভা করেন এবং সেখানে লোক না হয়, তাহলে কার বদনাম হবে?
তবে বিজেপির (BJP) সভায় ‘কম লোক’ হওয়ার পিছনে ‘খেলা’-ও আছে বলে দাবি করেছেন অনুব্রত। তাঁর কথায়, ‘খেলা হয়েছে বলেই তো আজকে লোক নেই। খেলা নাহলে তো আজকে লোক থাকত। খেলা আবার হবে।’ যদিও সভা ব্যর্থ হওয়ার তত্ত্ব মানতে নারাজ বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা। তাঁর পালটা কটাক্ষ, অনুব্রতের চোখের সমস্যা হয়েছে মনে হয়। সেজন্য নড্ডার সভায় কত লোক হয়েছে, সেটা দেখতে পারেননি। তাঁর চোখের চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত।
একাধিক হেভিওয়েট নেতা এনে বীরভূমে পদ্মফুল ফোটানোর চেষ্টা করলেও বিজেপি মানুষকে ভাঁওতা দিচ্ছে বলে দাবি করেন অনুব্রত। বিজেপিকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘সবসময় ধর্ম নিয়ে রাজনীতি হয় না। কিছু করতে হয়। কিছু দিতে হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বাংলাকে দু’হাত ভরে দিচ্ছেন। আর সেখানে না, কিছুই না। নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) পকেটে করে মিথ্যা কথা ভরে আনেন, দু’পকেট। এসে একটা করে ছাড়েন। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আঁচলে করে উন্নয়ন নিয়ে আসেেন। এসে উন্নয়ন দেন।’