সিএএ নিয়ে সুস্পষ্ট বার্তা দিতে আবারও ব্যর্থ শাহ
মতুয়া সম্প্রদায়ের মন পেতে ভোটের আগে ফের ঠাকুরনগরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মতুয়াদের সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন শাহ। ঠাকুরনগরের আগে কোচবিহার রাসমেলা ময়দানে জনসভা করেছেন অমিত। সেখানে তৃণমূল সরকারকে উৎখাতের ডাক দেন শাহ।
অমিত শাহ বলেন, আমরা ২০১৮ সালে নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। আমরা সেই প্রতিশ্রুতি রেখেছি। ২০১৯ সালেই আইন পাশ করেছি। তার পর করোনা চলে এল, সেই জন্য দেরি হচ্ছে। কিন্তু আমরা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, সেটা করবই। করোনা টিকাকরণের কাজ শেষ হলেই সিএএ কার্যকর হবে।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, করোনা টিকাকরণের কাজ শেষ কবে হতে পারে? সেই কাজ যদি ২০২২ অবধি চলে, তাহলেও কি মানুষকে অপেক্ষা করতে হবে? প্রশ্ন উঠছে, কেন এখনও সিএএ আইনের রুল তৈরি হল না? কিছুদিন আগেই সংসদে কেন্দ্রীয় সরকার রুল তৈরির কমিটির মেয়াদ বাড়িয়ে অক্টোবর অবধি করেছে। মানে, অক্টোবরের আগে রুল তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা কম।
তাহলে কি শুধুই ভোট পাওয়ার জন্য আবারও সিএএ অস্ত্র ব্যবহার করছে বিজেপি? সিএএ লাগু করা নিয়ে কেন পাওয়া গেল না সুস্পষ্ট সময়রেখা? প্রশ্ন থেকেই গেল।