এই মহিলা বিজ্ঞানীরা দেশকে গৌরবান্বিত করেছেন, চেনেন এঁদের?
নারী বা পুরুষ উভয়েরই থাকে একই ধরণের বুদ্ধিমত্তা। একজন পুরুষের পক্ষে যা সম্ভব তা একজন নারী পারবে না, এমনটা মনে করার কোন কারণ নেই। নারীরা শুধু সমতাকামী নন, তাঁরা সমতার যোগ্য- এর অজস্র প্রমাণ ইতিহাসে আছে। নারীরা শাসন করেছেন রাষ্ট্র, অবদান রেখেছেন সমাজের আমূল পরিবর্তনে। জ্ঞানের বিভিন্ন বিভাগে কাজ করেছেন তাঁরা, করছেন এখনও।
মহিলা বিজ্ঞানীদের প্রতি উৎসর্গিত এই আন্তর্জাতিক দিবসে দেখে নেব এমনই কিছু মহিয়সী মহিলা বিজ্ঞানীর তালিকা:
অসীমা চট্টোপাধ্যায়
জৈব- রসায়নে অসীমা চট্টোপাধ্যায়ের বিপুল অবদান রয়েছে। অ্যান্টি এপিলেপ্টিক এবং অ্যান্টি ম্যালেরিয়া ওষুধ নিয়ে তাঁর উল্লেখযোগ্য গবেষণা রয়েছে। তিনিই দ্বিতীয় মহিলা যাকে এক ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ডক্টর অফ সায়েন্স উপাধিতে ভূষিত করে।
আনন্দী বাঈ জোশী
তিনিই ভারতে অন্যতম প্রথম মহিলা ডাক্তার যিনি মাত্র ২১ বছর বয়সে পাশ্চাত্য ওষুধ নিয়ে ডাক্তারি প্র্যাক্টিস শুরু করেন। তিনি বিদেশে ডাক্তারি পড়তেও যান। কোলাপুর হাসপাতালের মহিলা বিভাগে ফিজিশিয়ান ইন চার্জ হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন।
ইন্দিরা হিন্দুজা
ইনি একজন বিখ্যাত গাইনোকলজিস্ট এবং ইনফার্টিলিটি স্পেশালিষ্ট। দেশকে ইনিই প্রথম গামা ইন্ট্রা ফ্যালোপিয়ান ট্রান্সফারের (গিফট)সাথে পরিচিত করান। গিফটের ওপ্র তাঁর গবেষণা বিভিন্ন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পত্রিকায় ছাপা হয়েছে।
শুভা তোলে
নিউরোসায়েন্সে অবদানের জন্যে বিখ্যাত এই মহিলা বিজ্ঞানী। ২০১০ সালে এই বিজ্ঞানীকে শান্তি স্বরূপ ভাটনাকার পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
দর্শন রঙ্গনাথান
বায়ো- অর্গ্যানিক কেমিস্ট্রিতে অবদানের জন্যে বিখ্যাত এই বিজ্ঞানী। সুপ্রা মলিকিউলার অ্যাসেম্বলি, মলিকিউলার ডিজাইন, কেমিক্যাল সিমুলেশনে তাঁর গবেষণা বিখ্যাত।
পরমজিত খুরানা
‘সব আবহাওয়ার বীজ’ তৈরির জন্যে বিখ্যাত এই বিজ্ঞানী। মালবেরি, গম এবং চালের বিশেষ বীজ আবিস্কার করেছেন পরমজিত, যা খরা, বেশি তাপের মতো আবহাওয়াতেও বেড়ে উঠতে সক্ষম।
অদিতি পন্থ
ইনিই প্রথম মহিলা সমুদ্রবিজ্ঞানী, যিনি ১৯৮৩ সালে আন্টার্টিকা গেছেন। সমুদ্রবিদ্যা এবং খনিজবিদ্যা নিয়ে ভারতের তৃতীয় এবং পঞ্চম আন্টার্টিকা অভিযানে ইনি প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায়
ব্রিটিশ ভারতের প্রথম ২ জন মহিলা স্নাতকের একজন এবং ইউরোপীয় চিকিৎসা শাস্ত্রে শিক্ষিত দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম মহিলা চিকিৎসক। ডাক্তারি শাস্ত্রের তিন-তিনটি বিলিতি ডিগ্রি লাভ করেন তিনি।