কোচবিহারে শাহের ভাষণ চলাকালীনই সভাস্থল ত্যাগ মানুষের
কোচবিহারের জনসভায় অমিত শাহ বলা শুরু করার কিছু পরেই সভা ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন বহু মানুষ। আজ এমন দৃশ্যের সাক্ষী থাকলো রাজ্য।
বাংলায় বিধানসভা ভোট আসন্ন। বাঙালির সংস্কৃতিমনস্কতা এবং আবেগকে এবার নির্বাচনে হাতিয়ার করেছে বিজেপি। বাঙালির মনীষীদের বক্তৃতায় টেনে আনা থেকে, বাঙালিদের বাড়িতে গিয়ে মধ্যাহ্ন ভোজ কোন কিছুতেই কসুর রাখছেন না বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা। প্রায় প্রতি সাতদিন অন্তর বিজেপির হেভি ওয়েট নেতারা রাজ্যে উড়ে এসে বোঝাচ্ছেন, তাঁরা বাঙালিদের সাথে কতোটা একাত্ম হয়ে গেছেন। বাঙালির মন পেতে দিনান্ত পরিশ্রম করছে গেরুয়া শিবির।
কিন্তু বিপত্তি যেন তাদের পিছু ছাড়ছে না। সে প্রধানমন্ত্রীর মনীষীদের নামের ভুল উচ্চারণই হোক, বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর রবীন্দ্রনাথের জন্মস্থান নিয়ে ভুল তথ্য দেওয়া। এতো চেষ্ঠা করেও বাঙালির মন পাওয়া তো দূরের কথা, প্রতিবারই সমালোচনার শিকার হতে হচ্ছে অমিত বাবুদের। এমনকি দুদিন আগে লোক না হওয়ায় ঝাড়গ্রামে বক্তব্য না রেখেই ফিরে গেছেন জেপি নাড্ডা। তবুও কেন্দ্রীয় নেতারা বাংলা সফর থেকে বিরত থাকছেন না।
এরকমই আরো এক ঘটনার সাক্ষী থাকল কোচবিহার। বৃহস্পতিবার বিজেপির শক্ত ঘাটিকে আরো একটু শক্ত করতে কোচবিহার উড়ে গেলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কোচবিহারবাসীর উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়াও শুরু করলেন। লোকজনও এলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভাষণ শুনতে। কিন্তু কিছু সময়ের মধ্যেই হল ছন্দ্যপতন। সভা ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন বড় অংশ মানুষ। কারণ তারা মন্ত্রীর ভাষণের বিন্দু বিসর্গও বুঝতে পারছিলেন না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিন্দিতে ভাষণ দিচ্ছিলেন যে! কোচবিহারের প্রত্যন্ত গ্রামগুলির কজন সাধারণ মানুষই বা জানেন সেই ভাষা!