আমি ১১০% আত্মবিশ্বাসী, আমরা আগের চেয়েও বেশি আসন নিয়ে ফিরছি: মমতা
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের জন্য যে তিনি একদম প্রস্তুত তা আবারও বুঝিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধীদের যে এক ইঞ্চি ছাড়বেন না, তাও স্পষ্ট করে দিলেন তিনি। একটি বেসরকারি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের আলোচনাচক্রে যোগ দিয়ে মমতা দাবি করলেন যে তিনি ১১০% আত্মবিশ্বাসী যে তিনি ক্ষমতায় ফিরছেন। শুধু তাই নয়, আগের চেয়েও বেশি আসন নিয়ে সরকার গড়বেন তিনি।
এদিন বিজেপিকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘বিজেপি উন্নয়নের কোনও কাজ করতে পারে না। আর সেই জন্যই বিভেদের রাজনীতি করে। নাম না করেই প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন তিনি। বলেন, ‘গোটা দেশটা চালাচ্ছেন ২ জন মানুষ। আমরা দুই, আমাদের দুই। তাঁরা যেভাবে বলবেন সেভাবেই চলতে হবে সবাইকে। আমি এই ধরনের রাজনীতিকে সমর্থন করি না। এ কেমন রাজনীতি? বিজেপি বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে গোটা দেশে। এমনকী রাজ্যেও একই ঘটনা ঘটাচ্ছে।
বিজেপির নেতাদের আকস্মিক বাঙালি প্রীতি নিয়ে কটাক্ষ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তো টেলিপ্রম্পটার ছাড়া ভাষণ দেন না। উনি যা বাংলা বলেন তা অন্তর থেকে আসে না। শুধুই দেখনদারি।” রবীন্দ্রনাথের জন্মস্থান ভুল বলা, বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙচুর এবং বিরসা মুন্ডার ভুল মূর্তিতে মাল্যদানের প্রসঙ্গও টেনে আনেন তিনি। বলেন, যারা গায়ের জোরে নির্বাচন জেতার জন্য বাংলায় আসছেন তারাই বহিরাগত। এখানে বসবাসকারী অবাঙালি মানুষকে কোনোদিনও বহিরাত বলা হয়নি।
আজ রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মমতা বলেন, উনি রাজ্যপাল, একটি সাংবিধানিক পদে আছেন। আমার কিছু বলা ঠিক হবে না। তবে, আমি ওনার কোন দোষ দেখি না। বিজেপি যা লিখে দেয় উনি তাই বলেন। ওনাকে ক্ষমা করে দেওয়া যায়।
সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশ্যেও তিনি বলেন, কাউকে ভয় পাবেন না। আপনারা মানুষের কথা না বললে কে বলবে? আপনারা রুখে দাঁড়ান, আমরা আপনাদের পাশে আছি। সংবাদমাধ্যমের কন্ঠরোধ করছে বিজেপি।