সামাজিক মাধ্যমের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা কেন্দ্রের
ট্যুইটার(Twitter), ফেসবুক(Facebook), হোয়াটসঅ্যাপের(WhatsApp) মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলির সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের(Central Govt) বিরোধ চরমে উঠেছে। সোশ্যাল মিডিয়াগুলি ভারতে ব্যবসা করছে, অথচ ভারতের আইনকেই গ্রাহ্য করছে না বলে সরকারের ক্ষোভ এবং অভিযোগ। আর তাই, সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণে এবার আরও কঠোর বিধি এবং একঝাঁক নতুন গাইডলাইন আনছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। তাতে নীতি, মূল্যবোধ এবং ফেক নিউজ নিয়েও থাকবে বিশেষ নির্দেশিকা। এভাবে ফতোয়া জারির মাধ্যমে ফেসবুক, ট্যুইটারের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলির বিরুদ্ধে কার্যত যুদ্ধ ঘোষণা করল কেন্দ্র।
বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় তথ্য-প্রযুক্তি তথা আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ(RaviShankarPrasad) বেনজির হুঁশিয়ারি দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলিকে বলেছেন, ‘ব্যবসা করছেন, আয় করছেন, লগ্নি করছেন, করুন। আমাদের কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু এসব করতে হলে ভারতের আইন মেনে চলতে হবে। নয়তো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আপনাদের লক্ষ লক্ষ ফলোয়ার আছে ভারতে। আপনারা অর্থোপার্জন করছেন। কিন্তু ভারতের সংবিধান মেনে চলতে হবে।’ এমনকী সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার হলে সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্ট মালিকদের বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রবিশঙ্কর প্রসাদ। পাশাপাশি ট্যুইটারকে আক্রমণ করে মন্ত্রী বলেন, ‘দ্বিচারিতা করছেন কেন? ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল হিলে আক্রমণ হলে সেই ঘটনার উস্কানিদাতাদের আপনারা ব্লক করে দিয়েছেন। আর একই ঘটনা লালকেল্লায় হলে তখন অন্যরকম সিদ্ধান্ত কেন? আমাদের নির্দেশিকা অমান্য করা হচ্ছে। এভাবে চলবে না। হিংসা, ঘৃণা, অশালীনতার প্ররোচনা চলছে অবাধে।’ আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আর তথ্য-সম্প্রচারমন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকর নতুন গাইডলাইন নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছি। শীঘ্রই এই বিষয়ে গ্রহণ করা সিদ্ধান্ত সকলকে জানানো হবে। বাক স্বাধীনতা, মত প্রকাশের অধিকারকে আমরা সম্মান করি। আমাদের দলের নেতারাই তো জরুরি অবস্থার সময় এই নিয়ে লড়াই করেছেন।’ ট্যুইটারের মতোই ভারতীয় একটি কমিউনিকেশন প্ল্যাটফর্ম যে এসে গিয়েছে, সেটাও জানান মন্ত্রী। তার নাম ‘কু’ (koo)।