রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

স্কুল খোলার প্রথম দিনেই বামেদের ধর্মঘট, সমালোচনায় মুখর নানা মহল

February 12, 2021 | 2 min read

সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই স্কুল-কলেজ খোলার দাবিতে সাম্প্রতিককালে তীব্র আন্দোলন করেছে। আর যেদিন স্কুল খুলতে চলেছে, অর্থাৎ আজ, শুক্রবার সিপিএম ধর্মঘট ডাকায় ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। মজার বিষয় হল, স্কুলে যাতে পড়ুয়ারা যেতে না পারে, তার জন্য ছাত্র ধর্মঘটও ডেকে দিয়েছে এসএফআই। অন্যদিকে, শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় আজ থেকে স্কুল খোলার ব্যাপারে অনড়। তবে, অভিভাবকদের একটা বড় অংশই ঝুঁকি নিয়ে আজ সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে নারাজ।
বামেদের নবান্ন অভিযানে পুলিসের লাঠিচার্জের প্রতিবাদে ডাকা এই ধর্মঘটে পড়ুয়ারা কেন ক্ষতিগ্রস্ত হবে? এ প্রশ্নের উত্তরে এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য বৃহস্পতিবার বলেন, আজ আমরা স্কুল বন্ধ রাখার উদ্দেশ্যে রাজপথে নামিনি। কিন্তু পুলিস-প্রশাসন যে আক্রমণ নামিয়ে এনেছে, তাতে জখম হয়েছে বহু স্কুলপড়ুয়াও। তারই প্রতিবাদে ধর্মঘট। আমরা অনুরোধ করছি, একদিন পিছিয়ে খোলা হোক স্কুল। তবে, শিক্ষামন্ত্রী যখন অনড়, আমরাও তেমনই ধর্মঘট ডেকেছি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে, মাস্ক পরে সেপ্টেম্বর থেকেই স্কুল চালু করা যেত। সেটা কেন করা হয়নি? উল্টে ট্যাব দিয়ে অনলাইন শিক্ষা চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার। এতদিন বন্ধ রইল, আর একদিন পরে স্কুল খুললে কী এমন ক্ষতি হবে? এর জন্য সবার এত গাত্রদাহ কেন বুঝতে পারছি না! তাহলে যে পড়ুয়া স্কুলে আসতে চাইবে, তাকে কি বাধা দেওয়া হবে? সৃজন বলেন, আমরা অভিভাবকদের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, তাঁরা যেন সন্তানদের স্কুলে না পাঠান। যে ছাত্ররা একান্তই স্কুলের উদ্দেশে রাস্তায় বেরিয়ে পড়বে, তারা যেন আমাদের পিকেটিংয়ে যোগ দেয়।
বেহালায় এক সাংবাদিক বৈঠকে ধর্মঘটের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এতদিন ধরে সবাই উদ্বিগ্ন ছিলেন, মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কী হবে, উচ্চ মাধ্যমিকের প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস কীভাবে হবে? আর যখন স্কুল খোলা সম্ভব হচ্ছে, তখন ধর্মঘট ডাকা হচ্ছে। তিনি জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুক্রবার থেকেই স্কুল খুলবে। এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার কোনও সম্ভাবনা নেই। স্কুলগুলিকেও তৈরি থাকতে বলা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি দিব্যেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, বামেরা আরও বিচক্ষণতার পরিচয় দিতে পারত। এতদিন ধরে সবাই অপেক্ষায় ছিল এই দিনটার জন্য। আর সেটা যখন হচ্ছে, সেদিনই ধর্মঘট ডাকার অর্থ, তারা শিক্ষার সর্বনাশ চায়। হাতে ইস্যু না থাকায় ধর্মঘটকে হাতিয়ার করে নজরে আসার চেষ্টা চালাচ্ছে তারা।
অন্যদিকে, বিভিন্ন অভিভাবকদের ফোরামও বিষয়টা নিয়ে বিরক্ত। তাদের বক্তব্য, স্কুল খোলার প্রথম দিনেই এটা না করলেই হতো। তবে, ধর্মঘট যখন ডাকাই হয়েছে, তখন আর তারা ঝুঁকি নেবে না। 

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Strike, #reopen, #schools

আরো দেখুন