‘শুধু নোবেল প্রাইজটা দেওয়াই বাকি ছিল মমতার’ দীনেশকে কড়া আক্রমণ মদনের
ইতিমধ্যেই বিজেপির(BJP) তরফ থেকে তাঁকে দলে আহ্বান জানানো হয়েছে বলে খবর। ইস্তফা দেওয়ার সময় দীনেশ ত্রিবেদী(Dinesh Trivedi) যে বক্তব্য পেশ করেছেন তাতেও ইঙ্গিত মিলেছে যে তিনি বিজেপির প্রত্যক্ষ প্রশংসা করছেন। শুক্রবারই রাজ্যসভায় বলতে উঠে নাটকীয় ভাবে তৃণমূল ছাড়েন দীনেশ ত্রিবেদী। সেখানেই দাঁড়িয়েই সাংসদ পদে ইস্তফা ও তৃণমূল কংগ্রেস দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি। দীনেশের এমন ভাবে দল ছাড়ার ঘোষণা নিয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হল দলের অন্দরে। কটাক্ষ করেন প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্রও(Madan Mitra)।
দীনেশ ত্রিবেদীকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ তকমা দিয়ে মদনের তোপ, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দীনেশ ত্রিবেদীকে শুধু নোবেল প্রাইজ দেওয়া বাকি ছিল।’ তাঁর কথায়, লোকসভা নির্বাচনে দীনেশ হেরেছিলেন। তবুও তাঁকে দলের সাংসদ করে রাজ্যসভায় পাঠিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। অন্যদিকে, ‘কয়েকজন নেতার দলত্যাগে’ তৃণমূলে কোনও প্রভাব পড়বে না বলেই দাবি মদনের।
শুক্রবার নাটকীয় ভঙ্গিতে দল ছাড়ার পর দীনেশ ত্রিবেদীও তৃণমূলের বিরুদ্ধে তাঁর ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বলেন, ‘আমার রাজ্যের সর্বত্র হিংসাত্মক ঘটনা ঘটছে। অথচ আমরা কিছু বলতে পারছি না। আমি রবীন্দ্রনাথ, নেতাজির ভূমি থেকে আসা মানুষ। তাই এটা আমি আর দেখতে পারছি না। আমি একটি দলে আছি। তাই দলের শৃঙ্খলা মেনে চলতে হচ্ছে। কিন্তু আমার দমবন্ধ হয়ে আসছে। এর চেয়ে ইস্তফা দিয়ে বাংলায় গিয়ে কাজ করা ভালো।’ তাঁর আরও বক্তব্য, ‘আমি আমার অন্তরের ডাক শুনেছি। সকলকেই কখনও না কখনও অন্তরাত্মার ডাক শুনতে হয়।’
তবে এদিনই দীনেশ পরিষ্কার করে দিয়েছেন যে, তৃণমূল ছাড়লেও রাজনীতি ছাড়ছেন না। সূত্রের খবর, দীনেশ ত্রিবেদীর বিজেপিতে যাওয়া কেবল সময়ের অপেক্ষা। অর্জুন সিং, শমীক ভট্টাচার্যরাও বলছেন তাঁদের অসুবিধে নেই দীনেশ ত্রিবেদী বিজেপিতে যোগদান করলে। পাশাপাশি, অমিত শাহ ও নরেন্দ্র মোদীকে নিজের বন্ধু বলেও দাবি করেছেন দীনেশ। তৃণমূলের পালটা দাবি, দীনেশ ত্রিবেদীর দলত্যাগ ভোটে কোনও প্রভাব ফেলবে না। কিন্তু রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মত, দীনেশ ত্রিবেদী এলে বিজেপির লাভ, কারণ তিনি হিন্দিভাষী। রাজ্যের হিন্দিভাষীদের মন পেতে দীনেশ ত্রিবেদীর ইমেজ কাজে লাগবে বিজেপির, এমনটাই মনে করছেন তারা।