রবি শস্যে রেকর্ড বিমা করাল রাজ্য
রবি মরশুমেও শস্য (Rabi grain) বিমা করার ক্ষেত্রে রেকর্ড রাজ্যের। প্রায় ৫৫ লক্ষ কৃষক এ পর্যন্ত রবি ফসলের উপর পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নিজস্ব ‘বাংলা শস্য বিমা’ (Bangla Sashya Bima) প্রকল্পে যুক্ত হয়েছেন। সংখ্যাটা গত রবি মরশুমের তুলনায় মোটামুটি ১০ লক্ষ বেশি। এখনও কয়েকটি ফসলের বিমা করানোর সময় বাকি আছে। ফলে উপকৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এবারের খরিফ মরশুমে প্রায় ৬৭ লক্ষ কৃষক শস্য বিমায় নাম লিখিয়েছিলেন। গত খরিফ মরশুমের চেয়ে যা ২০ লক্ষ বেশি। তবে খরিফ ফসল যেখানে ৪২-৪৪ লক্ষ হেক্টর জমিতে চাষ হয়, সেখানে রবি চাষের (বোরো ধান সহ) জমির পরিমাণ ৩২ লক্ষ হেক্টরের মতো। এই নিরিখে রাজ্যে এবার যথেষ্ট বেশি সংখ্যক কৃষক শস্য বিমা প্রকল্পের আওতায় এসেছেন বলে মত কৃষি বিশেষজ্ঞরা।
রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, কৃষির উন্নয়নে মুখ্যমন্ত্রী যে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন, এটা তার প্রতিফলন। অধিকাংশ ফসলে বাংলা শস্য বিমা প্রকল্প করার জন্য কৃষকদের কোনও প্রিমিয়াম দিতে হয় না। চাষের জন্য সেচ সহ অন্যান্য পরিকাঠামো ব্যবস্থাও উন্নত করা হয়েছে। পাশাপাশি কৃষকবন্ধু প্রকল্পে আর্থিক সহায়তা মেলায় চাষের কাজে আগ্রহ বাড়ছে। সরকারি হিসেবে রাজ্যে কৃষকের সংখ্যা প্রায় ৭২ লক্ষ। সব চাষিকে শস্য বিমার আওতায় আনার লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে, জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী।
কেন্দ্রীয় সরকারের শস্য বিমা প্রকল্পে প্রিমিয়ামের একটা অংশ কৃষকদের দিতে হয়। বাকিটা বহন করে কেন্দ্র ও রাজ্য। কৃষকদের স্বার্থে কয়েক বছর আগে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে পৃথক বিমা প্রকল্প চালুর সিদ্ধান্ত নেন। আর তা চালু হওয়ার পর শস্য বিমায় অংশ নেওয়া কৃষকের সংখ্যা বাড়ছে। খরিফ মরশুমে ধান, পাট, ভুট্টার উপর যে ‘বাংলা শস্য বিমা’ হয় তার জন্য কোনও প্রিমিয়াম চাষিকে দিতে হয় না। রবি মরশুমে প্রায় ১১ ধরনের ফসলের মধ্যে শুধু আলু ও আখের জন্য মোট প্রিমিয়ামের সর্বাধিক ৪.৮৫ শতাংশ দিতে হয় কৃষককে। এবার প্রায় ৪ লক্ষ আলু চাষি বিমা করিয়েছেন বলে সরকারি সূত্রে খবর।
কয়েকটি ফসলের উপর আগামী ১৫ মার্চ পর্যন্ত বিমা করানোর সুযোগ থাকছে। বোরো ধানের সময়সীমা ৩১ জানুয়ারি থেকে বাড়িয়ে ১৫ ফেব্রুয়ারি করা হয়েছে। বাংলা শস্য বিমা প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার নোডাল অফিসার সৌরভ গুপ্ত জানিয়েছেন, আগামী দিনে রাজ্যে আরও বেশি কৃষক অংশ শস্য বিমায় নেবেন বলে তাঁরা আশা করছেন।