মানবিক মুখ্যমন্ত্রী, বাম কর্মীর মৃত্যুর তদন্তের নির্দেশ
আরো একবার দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রীর মানবিক রূপ। মৃত ডিওয়াইএফআই(DYFI) নেতা মইদুল ইসলাম মিদ্দার(Moidul Islam Middya) মৃত্যুতে তদন্তের নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। দিলেন পরিবারকে চাকরি দেওয়ার আশ্বাসও। সোমবার নবান্ন থেকে এই ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। মিদ্দার পরিবারের প্রতি সমবেদনাও প্রকাশ করেছেন তিনি। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য প্রশ্ন করেন, “মিদ্দা আদৌ কি ওইদিন আন্দোলনে ছিলেন?” মৃত্যুর বিষয়টি খতিয়ে দেখবে পুলিশ, একথাও জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন ‘মা কিচেন’ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মমতা। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রীকে মিদ্দার মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। জবাবে তিনি জানান, “খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীকে ফোন করেছিলাম। দুঃখ প্রকাশও করেছি।”তিনি আরও বলেন, “যে কোনও মৃত্যু দুঃখের। কোনও সাহায্যই সেই দুঃখ লাঘব করতে পারে না। তবু তাঁর পরিবার চাইলে একজন সদস্যকে চাকরি দেওয়া হবে।” এদিন ডিওয়াইএফআই নেতার মৃত্যুর কারণ নিয়ে প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।
এদিনের সাংবাদিক বৈঠক থেকে মমতা প্রশ্ন তোলেন, মিদ্দা কি আদৌ ওইদিনের মিছিলে ছিলেন? কীভাবে মৃত্যু হল তাঁর? বিষয়গুলি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মিদ্দার মৃত্যু প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “গত দুদিন ধরে ওই যুবকের খবর জানত না তাঁর পরিবারও। পুলিশকেও কিছু জানানো হয়নি। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের দিকে নজর থাকবে পুলিশের।”
প্রসঙ্গত চাকরি, শিক্ষা-সহ একাধিক দাবিতে ১১ ফেব্রুয়ারি নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল বাম ছাত্র সংগঠন। বামেদের অভিযানকে কেন্দ্র করে রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল কলকাতা। রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল শহর। বাম ছাত্র-যুবদের আটকাতে ব্যাপক তৎপর পুলিশের সাথে ধ্বস্তাধস্তি হয় আন্দোলনকারীদের। বেশ কয়েক জন আহতও হন। সোমবারই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ওই বাম নেতা।