দুয়ারে সরকার, পাড়ায় পাড়ায় সমাধানের ফাইনাল রিপোর্ট প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী নবান্নের(Nabanna) সভাঘর থেকে সোমবার ‘মায়ের রান্নাঘর’(Mayer RannaGhor) বা ‘মা কিচেন’-এর(Ma Kitchen) শুভ সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Basnerjee)। যেখানে মাত্র পাঁচ টাকায় মিলবে ডিম-ভাত। পাশাপাশি থাকবে ডাল এবং সবজিও। আপাতত কলকাতার ১৬টি বরো অফিসের ক্যান্টিনে এই খাবার মিলবে। তবে আগামিদিনে গোটা রাজ্যে এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া যাবে। এমনটাও এদিন জানালেন তিনি।
সোমবার নবান্ন থেকে একাধিক প্রকল্পের ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। ওয়েবল মোড়ে চারটি আইটি পার্কের উদ্বোধন করেন, এরপর শ্রী শ্রী পূর্ণব্রহ্ম গুরুচাঁদ ঠাকুরের মূর্তি উন্মোচন করেন। এছাড়া চিত্তরঞ্জন সেবা সদন হাসপাতালে ‘মাতৃ মা’ভবনেরও উদ্বোধন হয় এদিন। আর এরপরই ‘মায়ের রান্নাঘর’ প্রকল্পের শুভ উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
উদ্বোধনের পর মুখ্যমন্ত্রী জানান, “এই কর্মসূচিটি সাধারণ মানুষের জন্য। গরিব মানুষদের জন্য মায়ের নামে এই কমিউনিটি কিচেনগুলো চালু করা হচ্ছে। পুরোটাই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্যোগ। পরীক্ষামূলকভাবে আপাতত শুরু করা হচ্ছে। তবে আস্তে আস্তে গোটা রাজ্যে তা শুরু করা হবে। আর এই কিচেন চালাবে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ছেলেমেয়েরা। এখানে কোনও আবেদনের ব্যাপার নেই।”
এদিকে, পাড়ায় সমাধান এবং দুয়ারে সরকারের ফাইনাল রিপোর্টও জানান মুখ্যমন্ত্রী। দুই কর্মসূচির সাফল্যের খতিয়ানও তুলে ধরেন তিনি।
এদিন খতিয়ান তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন:
• মোট চারটি পর্যায়ে হয়েছে দুয়ারে সরকার প্রকল্প। ৩২,৮৩০ শিবিরে এই অবধি ২ কোটি ৭ লক্ষ মানুষ এসেছেন। যা রাজ্যের মোট জন সংখ্যার ২৫ শতাংশ।
• ১.৭৭ কোটি আবেদন পত্র জমা পড়েছে। যার ১০০ শতাংশই ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
• স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে ৮৫ লক্ষ সাইকেল দেওয়া হয়েছে।
• ২০ লক্ষ ১৩ হাজার ৬৩৯ জনকে খাদ্য সাথী প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে।
• ২২ লক্ষ ৪৪ হাজার জনকে জাতি শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে।
• ৩১,১০১ জনকে শিক্ষাশ্রী বৃত্তি দেওয়া হয়েছে।
• ৭,৯২১ জনকে জয় জহর প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে।
• ৩৯,৮৮৬ জনকে তপশিলি বন্ধু প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে।
• ৩ লক্ষ ৬৫ হাজার ২৫৪ জন ছাত্রী কন্যাশ্রীর টাকা পেয়েছে।
• ৯৮ হাজার ৮৭৬ জন রূপশ্রীর টাকা পেয়েছে।
• ৫ লক্ষ ৪৮ হাজার জনকে ঐক্যশ্রী প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে।
• ১২ লক্ষ ১৩ হাজার শ্রমিককে ১০০ দিনের কাজের সাথে যুক্ত করা হয়েছে।
• ১১ লক্ষ ২৫ হাজার কৃষককে কৃষক বন্ধু প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে।
• ৪৬ হাজার মানুষকে মানবিক প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া হয়েছে।
• ১৫ লক্ষ মানুষকে বার্ধক্য এবং বিধবা ভাতা দেওয়া হচ্ছে।