সরস্বতী পুজোতেও খিচুড়ি-লাবড়ার হোম ডেলিভারি, উদ্যোগী পঞ্চায়েত দপ্তর
সরস্বতী পুজোয় একটু খিচুড়ির সঙ্গে লাবড়া খেতে ইচ্ছে করছে? কিন্তু রান্নার ইচ্ছে নেই। কিংবা পুরনো স্বাদের কুলের চাটনি! ইচ্ছে করছে কেউ বাড়িতে দিয়ে যাক? মুশকিল আসান হয়ে আসছে পঞ্চায়েত দপ্তরের অধীন সিএডিসি। কলকাতার নির্দিষ্ট কিছু এলাকা থেকে নবান্ন, গড়িয়া থেকে ডানপল, ইচ্ছে করলেই সরস্বতী পুজোর দিন পাওয়া যেতে পারে এই পরিষেবা। সরস্বতী পুজোর (Saraswati Puja) দিন নিরামিষ। আর তার পরদিন ইলিশে আর খাসিতে বাঙালির ভূরিভোজের ব্যবস্থা করেছে সিএডিসি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আবেদন করলেই বাড়ি বয়ে হাতে গরম ভূরিভোজ।
এবারই প্রথম নয়। এমন উদ্যোগ দুর্গাপুজোর সময় থেকেই নিচ্ছে সিএডিসি (SADC)। রাজ্য সরকারের যাবতীয় প্রকল্পের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। যেমন জনপ্রিয় হচ্ছে ‘দুয়ারে সরকার’, তেমনই ঘরে বসে খাওয়ার পাওয়ার প্রকল্পও জনপ্রিয় হচ্ছে। গত দুর্গাপুজো এবং লক্ষ্মীপুজোর সময় বাড়ি বাড়ি খাবার দেওয়ার সিএডিসির এই প্রকল্প আম জনতার নজর কেড়েছিল। বাঙালির ‘ভ্যালেন্টাইনস ডে’কে সামনে রেখে তাই ফের একবার পসরা সাজিয়েছে পঞ্চায়েত দপ্তর।
রাজ্যের পঞ্চায়েত দপ্তরের বিশেষ সচিব তথা সিএডিসির কর্তা সৌম্যজিৎ দাস বলেন, আমরা চাই সরস্বতী পুজোর সময় পুজোর পাশাপাশি হোক ঘোরাঘুরিও। হেঁশেল সামলানোর দায়িত্বটা আমরাই নিচ্ছি। বিশেষ দিনের বিশেষ পদ, পুজোর দিনের নিরামিষ পদ এবং তারপর স্বাদবদলের জন্য বিশেষ ধরনের আমিষ পদের ব্যবস্থাও আমরা রেখেছি। অর্ডার পেলেই বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেওয়া হবে। পুজোর মরশুমে এই প্রকল্প ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছিল। উপভোক্তাদের দাবিতেই আবার সরস্বতী পুজোকে কেন্দ্র করে ‘থালি’ সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই বিশেষ প্রকল্পের ম্যানেজমেন্ট কর্তা স্বাগতা রায় বলেন, বিমানবন্দরের এক নম্বর গেট থেকে গড়িয়া, ডানলপ এবং নবান্ন পর্যন্ত এই পরিষেবা আমরা দেব। সরস্বতী পুজোর দিনে খাবারের অর্ডার ১৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যে পর্যন্ত দেওয়া যাবে। আমাদের ফেসবুক পেজ এবং বিশেষ নম্বরে ফোন করে অর্ডার দেওয়া যাবে। তিনি আরও জানান, ৯০০৭১৯৪১০৮ এবং ৮৪২০২৯৭০৬২, ৯১৬৩১২৩৫৫৬ —এই তিনটি নম্বরে ফোন এবং হোয়াটস অ্যাপ মেসেজ করে অর্ডার দেওয়া যাবে। সরস্বতী পুজোর দিন নিরামিষ। তাই সিএডিসির এই ‘হোম ডেলিভারি’ পরিষেবার থালিতে থাকছে আলু-কপি দিয়ে খিচুড়ি। সঙ্গে বেগুনি, লাবড়া, পাঁপড় ও চাটনি। শেষ পাত সাজানো হয়েছে চন্দননগরের জলভরা সন্দেশ এবং মিষ্টি পান দিয়ে। রাতের মেনুতে থাকছে লুচি, বেগুনভাজা, কাশ্মীরি আলুর দম, গুড়ের পায়েস। পরদিন ১৭ তারিখ থাকছে খাঁটি আমিষ নানা পদ। তাতে থাকবে ইলিশ, খাসির মাংস, বেকড রসগোল্লা, পাঁচ ধরনের সব্জি। থালিপিছু খরচ পড়বে ১২৫ টাকা থেকে শুরু করে ৩০০ টাকার মধ্যে। ফলে যাঁরা সরস্বতী পুজোর দিন টইটই করে ঘুরে বেড়াতে চান, পরের দিন চান হেঁশেল থেকে ছুটি, তাঁদের জন্য এটা যে সুবর্ণ সুযোগ, তা বলাই বাহুল্য।