আলিপুরদুয়ারে চা শ্রমিকদের নিয়ে সভা তৃণমূলের
আগামী মঙ্গলবারই খুলছে মাদারিহাট ব্লকের বন্ধ বীরপাড়া চা বাগান (Tea Garden)। এর ঠিক আগে রবিবার কালচিনিতে শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক (Malay Ghatak) বলেন, কোভিড পরিস্থিতিতেও উত্তরবঙ্গে আমরা ১০টি চা বাগান খুলে দিয়েছি। আলিপুরদুয়ারে আর কয়েকটি বাগান বন্ধ আছে। সেই বাগানগুলিও আমরা দ্রুত খুলে দেব। উল্লেখ্য, রবিবার কালচিনির থানা মাঠে তৃণমূল চা শ্রমিক সংগঠনের কর্মিসভা হয়। সভায় কালচিনি, মাদারিহাট ও কুমারগ্রামের ৫০টিরও বেশি চা বাগানের শ্রমিক নেতা-কর্মীরা যোগ দেন।
এদিনের সভায় একেবারে সামনের সারিতে ছিলেন দলের চা বলয়ের পরিচিত মুখ রাজেশ লাকড়া, প্রকাশ চিকবরাইক, লিউস কুজুর ও পাশাং লামা। তাঁদের সঙ্গেই উপস্থিত ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ তৃণমূলের শান্তা ছেত্রী, দলের জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামী, রাজ্য সম্পাদক ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী সহ অন্যান্য নেতা।
এদিন কর্মিসভায় জেলার ৬৭টি চা বাগানের ৭৫ হাজার চা শ্রমিক পরিবারে বিলি করার জন্য বিশেষ ক্যালেন্ডার প্রকাশ করা হয়। সঙ্গে চা শ্রমিকদের কল্যাণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী কী উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ করেছেন তা নিয়ে তিনটি রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ করা হয়েছে। ক্যালেন্ডারের সঙ্গে এই রিপোর্ট কার্ডও আগামী ২০ দিনের মধ্যে ৭৫ হাজার চা শ্রমিক পরিবারে বিলি করা হবে বলে শ্রমমন্ত্রী জানান। তিনি বলেন, ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বীরপাড়াতে এসে এখানকার সাতটি বন্ধ চা বাগান অধিগ্রহণ করা হবে বলে জনিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর এই প্রতিশ্রুতির গোটাটাই ভাঁওতা ছিল। শ্রমিকরা জানেন গত পাঁচ বছরে কারা বন্ধ বাগান খুলেছে। শ্রমমন্ত্রী আরও বলেন, কোভিড পরিস্থিতিতেও আমরা ১০টি বন্ধ বাগান খুলেছি। বাকিগুলিও দ্রুত খোলার চেষ্টা চলছে। বিজেপির নেতারা আপনাদের বাড়িতে আসবেন। তাঁদের জিজ্ঞাসা করবেন অসমে একজন চা শ্রমিকের মজুরি কত? বাংলায় চা শ্রমিকরা বিনা পয়সায় রেশনে মাসে ৩৫ কেজি চাল পাচ্ছেন। এদিকে, এদিনই কালচিনিতে বিজেপিতে ভাঙন শুরু হয়েছে। অনন্ত ঈশ্বরারী নামে বিজেপির এক পঞ্চায়েত সদস্য ২০০ জন অনুগামীকে নিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন। শ্রমমন্ত্রী তাঁদের হাতে দলের পতাকা তুলে দেন।