বর্ধমানে দেওয়াল লিখনেও স্পষ্ট নব্য বনাম আদি বিজেপির কোন্দল
![](https://drishtibhongi.in/wp-content/uploads/2021/02/IMG-20210217-WA0009.jpg)
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমান(Purba Burdwan) জেলার আউশগ্রাম (Aushgram) বিধানসভা ও গলসি(Galsi) বিধানসভা সীমান্ত এলাকায় বেশকিছু দেওয়ালে লেখা, “ওয়াল ফর বিজেপি(আদি)”। এবিষয়ে গলসির কুরকুবা অঞ্চলের জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা বিজেপি(BJP) কর্মী দেবব্রত মণ্ডল বলেন, “আমি ১৯৯১ সাল থেকে দল করছি। আমরা ‘বিজেপি আদি’ নামে দেওয়াল দখল করে উচ্চ নেতৃত্বের কাছে বার্তা দিতে চাইছি যে, দলের মধ্যে বেনোজল ঢোকায় আমরা কোণঠাসা। কিন্তু আমরা এখনও মরিনি। এখন দেওয়াল দখল করে রাখছি। ভবিষ্যতের আলোচনা করে পদক্ষেপ করা হবে।”
বিজেপির আউশগ্রাম বিধানসভার ৫৩ নম্বর মণ্ডলের প্রাক্তন সভাপতি স্মৃতিকান্ত মণ্ডল নিজেকে বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর ‘মুখপাত্র’ বলে দাবি করেছেন। তাঁর কথায়, “যাঁরা দলের দুর্দিনের সময় বহু ঘাত-প্রতিঘাত সহ্য করে বিজেপির সংগঠন সামলে এসেছিলেন এখন তাঁদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। তাই সেই সব লড়াকু বিজেপির কর্মীরা দেওয়াল দখল শুরু করছে। যদি ভোটের সময় পুরাতন কর্মীরা গুরুত্ব না পান তাহলে এইসমস্ত দখল করা দেওয়ালে নির্দল প্রার্থীর হয়ে ভোটপ্রচার করা হবে।” স্মৃতিকান্ত মণ্ডলের কথায়, “দলের বর্ধমান(সদর) সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দীর বিরুদ্ধেই মূলত তাদের ক্ষোভ। যদি পুরানো দিনের কর্মীদের নিয়ে একসঙ্গে চলার মানসিকতা দেখানো না হয় তাহলে আমরা ঠিক করেছি বর্ধমান(সদর)জেলার মেমারি, জামালপুর, রায়না, খণ্ডঘোষ, গলসি, আউশগ্রাম, ভাতার, বর্ধমান(উত্তর) ও বর্ধমান(দক্ষিণ) এই ৯ টি কেন্দ্রেই নির্দল প্রার্থী দেওয়া হবে।”
এপ্রসঙ্গে বর্ধমানের(সদর) বিজেপির জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দী বলেন, “ভারতীয় জনতা পার্টিকে যারা মনেপ্রাণে ভালবাসেন তাঁরা এই ধরনের কথা বলতে পারেন না। আমাদের দলে অনেক আদি কর্মী রয়েছেন যাঁরা পদ না পেয়েও দলের হয়ে নিঃশব্দে কাজ করে যাচ্ছেন। যদি বিজেপিকে কেউ ভালোবেসে থাকেন তাঁরা বিজেপিতেই থাকবেন।” উল্লেখ্য, পূর্ব বর্ধমান জেলায় বিজেপির অন্তর্কলহ দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে। ২১ জানুয়ারি এই নিয়ে বর্ধমান শহরে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে ব্যাপক অশান্তি হয়। দু’পক্ষের বেশ কয়েকজনকে শো-কজ করা হয়।