কঙ্গনার সুরক্ষা খাতে ঠিক কতো খরচা হয়, হিসেব দিতে ব্যর্থ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রালয়ের মতে, অভিনেত্রী কঙ্গনা রানেওয়াতের সুরক্ষার পিছনে সরকার ঠিক কতো টাকা খরচ করে তার সঠিক কোন হিসেব নেই।
জম্মুর বাসিন্দা রোহিত চৌধুরির আরটিআই- এর জবাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বলে, “কোন ব্যক্তি বিশেষকে সুরক্ষা প্রদানের ক্ষেত্রে ব্যয়ের বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে দেখা হয় না।”
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি শ্রীমতী রানেওয়াতের কৃষক আন্দোলনের বিরুদ্ধে করা দুটি টুইট, টুইটার কর্তৃপক্ষ নিয়মভঙ্গের অভিযোগে ডিলিট করে দেয়। গত বছর ৭ সেপ্টেম্বরই তাঁকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে ওয়াই ক্যাটাগরি সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে।
এবার আসা যাক ওয়াই ক্যাটাগরি প্রসঙ্গে। ওয়াই ক্যাটাগরিতে কোন ব্যক্তির জন্যে ১১- ১২ জন দেহরক্ষীকে সবসময়ের জন্যে মোতায়েন করা হয়। কঙ্গনার ক্ষেত্রে বিশেষ ভাবে সিআরপিএফ জওয়ান দেহরক্ষী হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে।
এবিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানায়, “কোন দেহরক্ষীকে কতো টাকা মাইনে দেওয়া হচ্ছে বা তার গাড়ির কতো খরচ এইসবের খুঁটি নাটি হিসেব রাখা সম্ভব না। একাধিক এজেন্সি এই সবের দায়ভার নিয়ে থাকে। আর কোন ব্যক্তিকে সুরক্ষা দেওয়ার বিষয়টি যেহেতু রাজ্য ঠিক করে, তাই তার হিসেব রাজ্যের কাছেও থাকে। এর কোনটাই কেন্দ্র পরিচালনা করে না। তাই কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এই হিসেবের খুঁটিনাটি দেওয়া সম্ভব না।”
মুকেশ আম্বানি তাঁর জেড ক্যাটাগরি সিআরপিএফ সিকিউরিটির জন্যে প্রতি মাসে সরকারকে ২০ লক্ষ টাকা দেন।
রাজ্য সভায় এই প্রশ্নের জবাবে একবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বলেছিল, “মূলত দিল্লিতে বসবাসকারী বা থাকাকালীন সময়ে ব্যক্তিদের তাঁদের পদের গুরুত্ব এবং কোনভাবে জীবন হানীর আশঙ্কা থাকলে, তা বিচার করে কেন্দ্র সিকিউরিটি প্রদান করে থাকে।”
কিন্তু কঙ্গনাকে যখন সিকিউরিটি প্রদান করা হয়, তখন তিনি তাঁর হিমাচল প্রদেশের আদি বাড়িতে ছিলেন। সেই সময় সুশান্তের মৃত্যু নিয়ে তিনি টুইটারে শিবসেনার সাথে যুদ্ধে ব্যস্ত ছিলেন।
ব্যুরো অফ পোলিস রিসার্চ এন্ড ডেভলপমেন্ট- এর ২০১৯ এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ভিআইপিদের সুরক্ষা খাতে যে পরিমাণ দেহরক্ষী মোতায়েন করা আছে বলে তথ্য দেওয়া হয়, আসল সংখ্যা তার চেয়ে প্রায় ২০ হাজার বেশি।