এবার বিহারে দলবদলু কানহাইয়াও?
না, হল না! একসময় বেগুসরাই থেকে ‘লাল ঝড়ের’ আভাস দিলেও আপাতত ভারতীয় রাজনীতিতে কার্যত দর্শকের ভূমিকায় বামেদের তরুণ তুর্কী কানহাইয়া কুমার (Kanhaiya Kumar)। শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে নিজের দলেই ‘কোণঠাসা’ এই সিপিআই নেতা। এহেন পরিস্থিতিতে দলবদলের জল্পনা উসকে রবিবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের মন্ত্রিসভার সদস্য অশোক চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি।
রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় আগামী ১৫ মার্চ দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্টে হাজিরা দেওয়ার কথা জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রনেতা কানহাইয়ার। এদিকে, দলবিরোধী মন্তব্য এবং সমর্থকদের উদ্ধত আচরণের জন্য ‘ঘরে’ই ভিলেন তিনি। এমন ডামাডোল পরিস্থিতিতে বিহারে বিজেপির জোটসঙ্গী সংযুক্ত জনতা দলের (জেডিইউ) মন্ত্রীর সঙ্গে কানহাইয়ার এই সাক্ষাৎ যথেষ্ট ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলেই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। প্রশ্ন উঠছে, রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ বাঁচাতে এবার কি দলবদলের হাওয়ায় গা ভাসিয়ে দেবেন তিনি? সিপিআই নেতৃত্বের সঙ্গে দূরত্ব ক্রমে বেড়ে যাওয়ায়, এবার কি মতাদর্শ জলাঞ্জলি দিয়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেবেন কানহাইয়া? এর ফলে বাম দলটির যুব ব্রিগেডের একাংশও কি মুখ ফিরিয়ে নেবে? যদিও এসব প্রশ্নের উত্তর সময়ই দেবে, আপাতত গুজবের বাজার গরম।
উল্লেখ্য, গত ১ ডিসেম্বর পাটনা সফরে আসেন হায়দরাবাদ সিপিআইয়ের অফিস সচিব ইন্দু ভূষণ। সেখানে তাঁর সঙ্গে অত্যন্ত খারাপ ব্যবহার করেন কানহাইয়া ও তাঁর সমর্থকরা। দলীয় কার্যালয়ে ঢুকে নিজের দলের নেতা ইন্দু ভূষণকে মারধর করেন ওই যুবনেতা বলেও অভিযোগ। তার জেরে হায়দরাবাদ সিপিআই-এ কানহাইয়ার বিরুদ্ধে ‘কড়া পদক্ষেপ’ করার জন্য প্রস্তাবও পাশ হয়। যদিও, কানহাইয়া পরে দাবি করেছেন, সেদিনের ঘটনা তাঁর উপস্থিতিতে ঘটেনি। নিজের অনুগামীদের আচরণের জন্য ক্ষমাও চেয়ে নেন তিনি। এর আগেও জেএনইউয়ের প্রাক্তন ছাত্রনেতা বিতর্কে জড়িয়েছিলেন নিজের দল সিপিআইকে ‘কনফিউশন পার্টি অফ ইন্ডিয়া’ নামে কটাক্ষ করে। সেই বক্তব্যের জন্যও পরে তাঁকে ব্যাখ্যা দিতে হয়েছে। প্রসঙ্গত, ছাত্র রাজনীতির আঙিনা পার করে সিপিআই-এর হয়ে ২০১৯ সালে জাতীয় রাজনীতিতে পা রাখেন কানহাইয়া। বিহারের বেগুসরাই কেন্দ্র থেকে লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তবে বিজেপি-র গিরিরাজ সিংয়ের কাছে হেরে যান।