ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণের পথে কেন্দ্র
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণের (Bank Privatisation) লক্ষ্যে আইন সংশোধন করতে চলেছে কেন্দ্র। সরকারের অন্দরে ইতিমধ্যেই ওই সংশোধনী প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। কোন কোন আইন সংশোধন করলে বেসরকারিকরণ প্রক্রিয়া সহজভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ব্যাঙ্কিং আইন সংশোধনের জন্য সংসদে বিল আনতে হবে। তার আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদন করাতে হবে প্রস্তাবিত সংশোধনী। প্রধানত যে দুটি আইনের সংশোধনের কথা ভাবা হচ্ছে সেগুলি হল, অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড ট্রান্সফার অব আন্ডারটেকিংস আইন, ১৯৭০ এবং ব্যাঙ্কিং কোম্পানিজ অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড ট্রান্সফার অব আন্ডারটেকিংস অ্যাক্ট, ১৯৭০। তাৎপর্যপূর্ণভাবে বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলিকে জাতীয়করণের লক্ষ্যে ১৯৭০ সালে এই দু’টি আইন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী এনেছিলেন। আর সেই আইন কার্যকর হওয়ার পরই ভারতে ব্যাঙ্ক জাতীয়করণের পথ মজবুত হয়েছিল। ৫০ বছর পর আবার সেই দুই আইনেরই পরিবর্তন করা হচ্ছে। তবে এবার সরকারি ব্যাঙ্ককে আবার বেসরকারি করার লক্ষ্যে। অর্থাৎ সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী সিদ্ধান্ত নিতে।
বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্যায় আগামী ৮ মার্চ থেকে আবার শুরু হবে। কিন্তু এই অধিবেশনে সম্ভবত এই বিল আসবে না। ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণ সংশোধনী বিল আনা হতে পারে বর্ষাকালীন অধিবেশনে। সদ্য ঘোষিত বাজেটে বিলগ্নিকরণের মাধ্যমে ১ লক্ষ ৭৫ হাজার কোটি টাকা আাদয় করার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। এই বিপুল লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য অনেকটাই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক ও লাভনজক কয়েকটি সংস্থা বিক্রির উপর জোর দিচ্ছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। গত কয়েক বছরে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সংযুক্তিকরণের মাধ্যমে ধীরে ধীরে ব্যাঙ্কের সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়েছে। গত বছরই ১০টি ব্যাঙ্ককে সংযুক্ত করে চারটি ব্যাঙ্কে পরিণত করা হয়েছে। ফলে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সংখ্যা ২৭ থেকে কমে হয়েছে ১২। স্থির হয়েছে প্রাথমিকভাবে চেষ্টা করা হবে সংযুক্তিকরণের মাধ্যমে ব্যাঙ্কগুলিকে লাভজনক করার। আর দ্বিতীয় বিকল্প হল ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণ।