মধ্যবিত্তের চিন্তা বাড়িয়ে সুদের হার কমাতে পারে মোদী সরকার
সুদের টাকা দেওয়া নিয়ে নানা টালবাহানা তো চলছিলই। তার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের প্রভিডেন্ট ফান্ডের(Provident Fund) ১ হাজার ১৬৩ কোটি টাকা ডুবে যাওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়ে মধ্যবিত্তকে একরাশ উদ্বেগের মধ্যে ফেলে দিয়েছে মোদী সরকার(Modi Govt)। তবে এবার জানা গেল, কয়েক লক্ষ পিএফ অ্যাকাউন্টধারী ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন এই বছর! সূত্রের খবর, এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন(EPFO) করোনার(COVID19) সঙ্কটের কারণে এই আর্থিক বছরে সুদের হার হ্রাস করতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, এই আর্থিক বছরে পিএফ-এ সুদের হার আরও কমানো হতে পারে। উল্লেখ্য, গত বছরের পিএফ-এ সুদের হার ছিল ৮.৫ শতাংশ যা বিগত সাত বছরে সর্বনিম্ন।
জানা গিয়েছে, ইপিএফও-এর(EPFO) শ্রীনগরে একটি বৈঠক হওয়ার কথা যেখানে এই সুদের হার বিবেচনা করা হতে পারে। যদিও এ বিষয়ে কোনও সরকারি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়নি, তবে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন এমনটাই দাবি করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, করোনার সঙ্কটের সময়ে লোকেরা অগ্রিম হিসাবে প্রচুর পরিমাণে এবং পিএফ-এর টাকা তুলেছেন এবং এই আর্থিক বছরে কর্মসংস্থান হ্রাসের কারণে পিএফ-এ মোট জমার পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে। এই সমস্ত কারণে, পিএফ-এর মোট আমানত হ্রাস পেয়েছে তাই স্বাভাবিক ভাবেই এটি থেকে আয়ও হ্রাস পাবে।
এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন (ইপিএফও)-র দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ পর্যন্ত ৫৬.৭৯ লক্ষ আবেদনের ভিত্তিতে ১৪,৩১০.২১ কোটি টাকা পিএফ অ্যাকাউন্ট থেকে তোলা হয়েছে। এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত, ৭৩,২৮৮ কোটি টাকার ১৯৭.৯৪ চূড়ান্ত বন্দোবস্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে অগ্রিম, বীমা এবং কর্মচারীদের মৃত্যুর জন্য প্রদত্ত পরিমাণ ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। একই ভাবে ৩,৯৯৩ কোটি টাকা মূল্যের ৪.৯৯ লক্ষ সেটেলমেন্টের ছাড়পত্রের অধীনে তাদের পিএফ ট্রাস্ট পরিচালনা করে এমন সংস্থাগুলির ট্রাস্টদের দ্বারা করা হয়েছে।