দক্ষিণবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

দীঘায় জগন্নাথ মন্দিরের কাজ শুরু

February 19, 2021 | 2 min read

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণামতো পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে দীঘায় (Digha) শুরু হল জগন্নাথ মন্দির নির্মাণ ও সৌন্দর্যায়নের কাজ। হিডকো ওই কাজের তদারকি করছে। তারা ৭কোটি ৩৯লক্ষ ৩৭হাজার ১৮৩টাকা ব্যয়ে প্রস্তাবিত জগন্নাথধাম সংস্কৃতি কেন্দ্রের বাউন্ডারি ওয়ালের জন্য টেন্ডার ডেকেছিল। সপ্তাহ খানেক আগে দীঘা স্টেশন লাগোয়া ভগিব্রহ্মপুর মৌজায় জগন্নাথ মন্দিরের জন্য সীমানা প্রাচীর দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। এলাকায় সাইট অফিস খুলে বরাতপ্রাপ্ত সংস্থা কাজ শুরু করেছে। দীঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন সংস্থার দেওয়া প্রায় ১৮একর জমির উপর গড়ে উঠছে জগন্নাথ মন্দির।

২০১৯সালে ২০আগস্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) দীঘায় আন্তর্জাতিক মানের কনভেনশন সেন্টারের উদ্বোধন করে সোজা জগন্নাথঘাটে জগন্নাথ মন্দিরে (Jagannath Temple) গিয়েছিলেন। সেই মুহূর্তে তাঁর হাতে একটি নকশা ছিল। এরাজ্যের প্রচুর সংখ্যক দর্শনার্থী পুরী বেড়াতে যান। পুরীর সমুদ্রের পাশাপাশি জগন্নাথ মন্দির দর্শনের জন্যই প্রতি বছর এরাজ্যের বহু পর্যটকের গন্তব্যস্থল হয়ে উঠে পুরী। দীঘায় একটি জগন্নাথ মন্দির থাকলেও সেটি পুরীর মন্দিরের মতো তত আকর্ষণীয় নয়। তাই পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের মতো দীঘায় সুউচ্চ মন্দির নির্মাণে তৎপর হন মুখ্যমন্ত্রী। সেজন্য নকশা তৈরি হয়। দীঘার মন্দিরটি একেবারে সমুদ্রের ধারে অবস্থিত। সেখানে পর্যাপ্ত জায়গার অভাব। তাই স্টেশন লাগোয়া ভগিব্রহ্মপুরে জগন্নাথধাম সংস্কৃতি কেন্দ্র গড়া হচ্ছে। ভোটের আগে ওই কাজ শুরু হওয়ায় খুশি হোটেল মালিক এবং স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।

গত দশ বছরে দীঘা অনেক বদলেছে। গত এক দশকে নানাভাবে সাজানো হয়েছে সৈকত সুন্দরীকে। এই মুহূর্তে রাজ্যের অন্যতম সেরা পর্যটন কেন্দ্র হল দীঘা। আগামী দিনে দীঘাকে আরও আকর্ষণীয় করার লক্ষ্যে একগুচ্ছ পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য। তারমধ্যে সি-প্লেন থেকে সপ্তাহে সাতদিন কলকাতা-দীঘা হেলিকপ্টার সার্ভিস সহ নানা পরিকল্পনা রয়েছে। সেই তালিকায় জগন্নাথধাম সংস্কৃতি কেন্দ্র উল্লেখযোগ্য। বুধবারই দীঘার পদ্মপুকুরে সাড়ে তিন একর জমির উপর ২কোটি টাকা ব্যয়ে বায়ো ডাইভারসিটি পার্কের কাজের শুভ সূচনা হয়েছে। ন্যায়কালী মন্দিরকে ঘিরে কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে সৌন্দর্যায়নের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে দীঘা এক-দু’দিনের পরিবর্তে তিন-চারদিনের ঘুরে বেড়ানোর পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠবে।

দীঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন সংস্থার কার্যনির্বাহী আধিকারিক মানসকুমার মণ্ডল বলেন, জগন্নাথধাম সংস্কৃতি কেন্দ্রের কাজ করছে হিডকো। ওরাই টেন্ডার ডেকেছে। আমরা শুধুমাত্র জমি দিয়েছি। দীঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশিনের সাধারণ সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন, পুরীতে জগন্নাথধাম সংস্কৃতি কেন্দ্রের কাজ শুরু হয়েছে। এর ফলে আগামী দিনে দীঘা পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে। গত দশ বছরে এখানে অনেক উন্নতি হয়েছে। এককথায় দীঘার ভোল পাল্টেছে এই সরকারের আমলে। এখনও অনেক কাজ হচ্ছে। এক-দু’দিনের ট্যুরে পর্যটকরা এখানে আসেন। আমাদের আশা, আগামী দিনে দীঘা তিন থেকে চারদিনের ট্যুর হতে চলেছে।

বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার দীঘা হলিডে হোমের ম্যানেজার দিলীপকুমার ভুঁইঞা বলেন, পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের মতো দীঘাতেও জগন্নাথ মন্দির তৈরির কাজ শুরু হওয়ার খবরে আমরা সকলেই খুশি। আগামী দিনে দীঘা আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠুক। দীঘায় পর্যটক বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এলাকার অর্থনীতির ছবিটাও বদলাবে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#jagannath temple, #Digha

আরো দেখুন