পাড়ায় সমাধান – দেড় মাসে ১০ হাজারের বেশি সুরাহা মিলল
দুয়ারে সরকারের (Duare Sarkar) পাশাপাশি ‘পাড়ায় সমাধান’ প্রকল্পেও রাজ্য সরকারের নজিরবিহীন সাফল্য। গত দেড় মাসে ১০ হাজার ১৮০টি স্থানীয় বিষয়ক সমস্যার সমাধান হয়েছে। এর মধ্যে ৮,৪১৫টি সমস্যা ছিল পরিকাঠামোগত। রয়েছে ১,২৪৭টি পরিষেবা ও সরবরাহ সম্পর্কিত। আর ৫১৮টি রয়েছে মানবসম্পদ সম্পর্কিত। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) চেয়েছিলেন, ছোটখাট রাস্তা, পানীয় জল, রাস্তার আলো, জঞ্জাল সাফাই, স্কুল সংক্রান্ত, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা পাড়াতেই সমাধান হোক। সেই লক্ষ্যে তিনি ২ জানুয়ারি থেকে পাড়ায় সমাধান প্রকল্পের সূচনা করেন। মাত্র দেড় মাসে এই প্রকল্পে অভূতপূর্ব সাড়া পাওয়া গিয়েছে।
মানুষের কাছে সরকারকে পৌঁছে দিতে গত ১ ডিসেম্বর থেকে দুয়ারে সরকার প্রকল্প শুরু করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক মাসের পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ছোটখাট রাস্তা, পানীয় জল, আলো সহ নানা ধরনের সমস্যার অভিযোগ জমা পড়েছে ওই সব শিবিরে। এইসব সমস্যার তথ্য রাজ্য সরকারের কাছে পৌঁছতেই পাড়ায় পাড়ায় সমাধান করতে গত ২ জানুয়ারি নতুন প্রকল্পের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। যার নাম দেন পাড়ায় সমাধান (Paray Samadhan)। অধিকাংশ সমস্যা যেহেতু শহরাঞ্চলের ছিল, তাই পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরকে নোডাল দপ্তর করা হয়। শহরাঞ্চলের রাস্তা তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয় কেএমডিএ’কে।
সব আবেদন খতিয়ে দেখে দ্রুত গতিতে টেন্ডার ডাকা হয়। ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারির আগে সব কাজের টেন্ডার ডাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারণ, আগামী সপ্তাহে বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার পর আর নতুন করে টেন্ডার ডাকা যাবে না। ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পাড়ায় সমাধান প্রকল্পে ৩০৬৬টি রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। রাজ্যের ১৯৪৭টি স্থানে পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শৌচালয় নির্মাণ হয়েছে ৫৩৫টি। স্কুল সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান হয়েছে ৪৪২টি। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সমস্যার সমাধান হয়েছে ৬৩৯টি। ৮৭টি সেচ সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান হয়েছে। এছাড়াও ৮৩৯টি অন্যান্য বিষয়ে কাজ রূপায়িত হয়েছে। এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সাফল্যের একটি অন্যতম দিক। তিনি চান, সরকার মানুষের কাছে পৌঁছে যাক। সে কারণেই ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর তিনি প্রশাসনিক বৈঠক শুরু করেন। জেলায় জেলায়, ব্লকে ব্লকে গিয়ে মুখ্যসচিব থেকে বিডিও পর্যন্ত অফিসারদের নিয়ে সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী। মহাকরণ ও নবান্নকে ব্লক স্তরে মানুষের কাছে নিয়ে যান তিনি। তাঁর দ্বিতীয় সরকারের শেষলগ্নে মানুষের চাহিদা পূরণ করতেই দুয়ারে সরকার এবং পাড়ায় সমাধান প্রকল্প ঘোষণা করেন তিনি। যাতে মানুষ সবরকম সরকারি পরিষেবা পেতে পারেন। পাড়ায় সমাধান প্রকল্পে রাস্তার কাজ ঠিক মতো হচ্ছে কি না তা উচ্চপর্যায়ের ইঞ্জিনিয়ারা গিয়ে খতিয়ে দেখছেন। ইতিমধ্যে ৩০৬৬টি রাস্তা তৈরি হয়ে গিয়েছে। আরও তৈরি হবে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।