করোনা ভ্যাকসিন পাবেন রাজ্যের শিক্ষক, সরকারি, আধা সরকারি ও অশিক্ষক কর্মীও
প্রথমে স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিস কর্মীদের ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার হিসেবে করোনা টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেইমতো স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিস ও পুরকর্মীদের টিকা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এবার রাজ্যের সব সরকারি, আধা সরকারি, শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মচারীদের করোনা ভ্যাকসিন (Covid Vaccine) দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার নবান্নে (Nabanna) সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, রাজ্যের সব সরকারি কর্মচারীকে ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য নাম নথিভুক্ত করতে জেলাশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সব কর্মীকে অনুরোধ করা হয়েছে, নিজের উদ্যোগে নাম নথিভুক্ত করতে। এ পর্যন্ত পুলিস, স্বাস্থ্যকর্মী, পুরকর্মী মিলিয়ে সাত লক্ষ কর্মীকে দেওয়া হয়েছে, বাকিদেরও দেওয়া হবে। সব মিলিয়ে রাজ্যের সরকারি, আধা সরকারি, শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মচারীর সংখ্যা সাড়ে ৯ থেকে ১০ লক্ষ হবে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমকে চিঠি দিয়ে বলেছিলেন, এবারের বিধানসভা ভোটে যেসব সরকারি কর্মচারী যুক্ত থাকবেন, তাঁদের করোনা ভ্যাকসিন দিতে হবে। কোউইন পোর্টালে সেইসব ভোটকর্মীর নাম নথিভুক্ত করতে হবে। শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, আরও যে চারটি রাজ্যে বিধানসভা ভোট হবে, সেখানেও একই নির্দেশ পাঠিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব। এবার পশ্চিমবঙ্গে বুথের সংখ্যা বেড়ে এক লক্ষের বেশি হয়েছে। ফলে ভোটকর্মীর সংখ্যা বেড়ে সাড়ে
৪ লক্ষ হয়ে যাবে। এই সাড়ে ৪ লক্ষ কর্মীকে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ খুব শীঘ্রই শুরু হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বাকি কর্মীদেরও করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল।