২৬শে ব্যবসা বন্ধের ডাক ব্যবসায়ী সংগঠনের
শিল্প বা ব্যবসার গা থেকে লাল ফিতের ফাঁস আলগা করতে নানা পদক্ষেপ করছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi) বারবার জোর দিচ্ছেন ইজ অব ডুইং বিজনেস-এ(Ease Of Doing Business)। কর ব্যবস্থার(TaxSystem) সরলীকরণের কথা বলছেন বারবার। কিন্তু এসবের উল্টো পথে চলছে জিএসটি(GST)। সম্প্রতি এই অভিযোগে ব্যবসা বন্ধের (Strike) ডাক দিল কনফেডারেশন অব অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স (Confederation Of All India Traders)। আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি এই ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। এই সর্বভারতীয় সংগঠনটির বক্তব্য, চার বছর আগে দেশজুড়ে জিএসটি চালু হয়েছে। আর তারপর থেকেই বহুবার সংশোধনী আনা হয়েছে। এর ফলে বোঝা যায়, জিএসটি কাউন্সিল তাদের নিজেদের আনা করকাঠামো নিয়ে কতটা আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভুগছে। অথচ ব্যবসায়ীদের বলা হচ্ছে, সঠিকভাবে জিএসটি দিতে হবে। তা না-হলে রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা থেকে শুরু করে ইনপুট ক্রেডিট না দেওয়া, পেনাল্টি বা জরিমানা করা, সুদ চাপানো, আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া, এমনকী জেল খাটানোর ভয়ও দেখানো হচ্ছে। ব্যবসা করার বদলে এখন জিএসটি সংক্রান্ত কাজকর্ম ব্যবসায়ীদের বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
কনফেডারেশন অব অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্সের সেক্রেটারি জেনারেল প্রবীণ খান্ডেলওয়াল বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে প্রায়ই দাবি করা হয়, জিএসটি একটি সরল কর ব্যবস্থা। বাস্তব যদি তাই-ই হয়, তাহলে আমরা সরকারকে এই ব্যাপারে প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি। আমাদের বক্তব্য জিএসটি কাউন্সিলের যে সমস্ত সদস্য রয়েছেন, তাঁরা প্রকাশ্যে জিএসটি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কর জমা করার কাজটি করে দেখান। কিন্তু তাতে বহিরাগত কোনও ব্যক্তির সাহায্য নেওয়া চলবে না। কোটি কোটি ব্যবসায়ী কীভাবে প্রতিনিয়ত সমস্যার মুখে পড়ছেন, তা হলেই তাঁরা তা বুঝতে পারবেন। জিএসটি ব্যবস্থা যে সত্যিই ত্রুটিপূর্ণ এবং তার ব্যবসায়ীদের পক্ষে সমস্যার, তা মেনে নিয়েছে আরও একটি সর্বভারতীয় সংগঠন ফেডারেশন অব অল ইন্ডিয়া ব্যাপার মণ্ডল। তারা জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের কাছে এই ব্যাপারে স্মারকলিপি দেবে। এই কর ব্যবস্থার যাতে আরও সরল এবং বাস্তবসম্মত করা যায়, তার ওপর জোর দেওয়ার কথা বলবে তারা।