দ্বন্দ্বে জেরবার বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ জোট প্রক্রিয়া
জট কাটছেই না। দুই শরিকের কথা কাটাকাটি, আসন দাবি করে আলিমুদ্দিনকে চিঠি শরিক নেতৃত্বের। জোটের জট ছাড়াতে রাতে হুগলির বৈদ্যবাটিতে বৈঠকে বসল সিপিএম (CPM), কংগ্রেস (Congress) ও ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (ISF)। এদিন তিনপক্ষ দ্বিতীয় দফায় মুখোমুখি বসেও জট কাটাতে ব্যর্থ হল। আর এই ঘটনাক্রমই স্পষ্ট করে দিচ্ছে জোটের জটিলতা। যদিও দক্ষিণবঙ্গে জট কিছুটা ছাড়ানো গিয়েছে। এবার উত্তরবঙ্গ নিয়ে রবিবার সন্ধেবেলা ফের আলিমুদ্দিনে বৈঠক হবে বলে সূত্রের খবর।
নিজের ঘরেই জ্বলছে আগুন। তা নেভানোর চেষ্টা দূরঅস্ত। কংগ্রেস ও ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের ঘরের আগুন নেভাতে ব্যস্ত আলিমুদ্দিন। শহরে এসে বৈঠক করতে সমস্যা হচ্ছে। অসুবিধার কথা জানাচ্ছেন মূলত আইএসএফ নেতৃত্ব ও বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান। দু’পক্ষের অসুবিধা বুঝে কিছুটা আগে বাড়িয়ে হুগলির বৈদ্যবাটিতে শনিবার রাতে বৈঠকে বসে সিপিএম,কংগ্রেস,আইএসএফ – তিন পক্ষই। বৈঠক শেষে জোট নেতৃত্বের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট যে জটিলতা কাটেনি এখনও। জট ছাড়াতে আরও কয়েকদফা বসতে হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। তবে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট ও কংগ্রেসের মধ্যে আসন নিয়ে যে দড়ি টানাটানি চলছে, তার মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের অনেকটাই সমাধান করা গিয়েছে বলে দাবি সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিমের (Md. Selim)। মুর্শিদাবাদ, মালদহে নিয়ে অবশ্য চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছনো যায়নি এখনও। ফলে এবার আলোচনার কেন্দ্রে উত্তরবঙ্গের আসন বণ্টন।
এদিকে, জোটের বল জেলায় গড়াতেই শরিকদের দ্বন্দ্ব প্রকট হচ্ছে। বাঁকুড়ার (Bankura) ওন্দা আসনটি আব্বাস সিদ্দিকির দল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টকে ছেড়ে দেয় আলিমুদ্দিন। ঘুণাক্ষরেও তা জানতেন না ফরওয়ার্ড ব্লকের শীর্ষ নেতারা। ‘বাঘে’র গলায় কাটা ফুটতেই শুরু হয় তর্জন-গর্জন। সিপিএমের এক কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যের সঙ্গে ফোনে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন ফরওয়ার্ড ব্লকের এক শীর্ষ নেতা। কেন তাদের অন্ধকারে রেখে এমন সিদ্ধান্ত? জানতে চান তিনি। ওন্দা আসনে সংখ্যালঘু জনসংখ্যা হাতেগোনা। তা সত্বেও কেন আসনটি আব্বাসদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে, তার জবাব চান ফরওয়ার্ড ব্লকের ওই নেতা। ফোনে দুই নেতার মধ্যে কথা তুমুল কাটাকাটি হয় বলেও সূত্রের খবর।