পোস্টাল ব্যালটের ফর্ম নিয়ে ‘বিভ্রান্তি’
প্রায় সব নির্বাচনেই পোস্টাল ব্যালট (Postal Ballot) নিয়ে অল্পবিস্তর চাপান-উতোর চলে। আসন্ন বিধানসভা ভোটে পোস্টাল ব্যালটের ফর্ম বিলি নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় অভিযোগ উঠল ভোটকর্মীদের মধ্য থেকেই। যে-সব কর্মী ভোটে ডিউটি পেয়েছেন, তাঁদের একাংশের অভিযোগ, পোস্টাল ব্যালটের পরিবর্তে তাঁদের এ বার অন্য ভাবে ভোট দেওয়ার ফর্ম বা আবেদনপত্র দেওয়া হচ্ছে। ফলে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হচ্ছে তাঁদের মধ্যে।
নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) নিয়ম অনুযায়ী কোনও ভোটকর্মী যে-বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটার, সেই কেন্দ্রেরই কোনও এলাকায় ভোট-ডিউটি পেলে তাঁকে ‘ইলেকশন ডিউটি সার্টিফিকেট’ (ইডিসি) দেওয়া হয়। তখন তিনি কাছাকাছি যে-কোনও বুথে গিয়ে ভোট দিতে পারেন। সে-ক্ষেত্রে তাঁকে ১২-এ ফর্ম পূরণ করতে হবে। কিন্তু কোনও ভোটকর্মী নিজের বিধানসভা কেন্দ্রের বদলে অন্যবিধানসভা এলাকায় নির্বাচনী ডিউটিতে গেলে তাঁকে দেওয়া হয় পোস্টাল ব্যালট। সে-ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মীকে আগেই ১২ নম্বর ফর্ম পূরণ করতে হবে।
এ বার ভোটকর্মীদের অনেকে অভিযোগ করছেন, পোস্টাল ব্যালটের ১২ নম্বর ফর্মের পরিবর্তে ইডিসি-র জন্য ১২-এ ফর্ম দেওয়া হচ্ছে।
তবে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসারের (সিইও) দফতরের ব্যাখ্যা, ভোটকর্মীরা কোথায় এবং কী ভাবে ভোট দিতে পারবেন, সেটা তাঁদের নিয়োগপত্রেই সুস্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়। তার বাইরে গিয়ে কমিশন কোনও কাজ করতে পারে না। খুঁটিনাটি সব নিয়ম অনেকেরই জানা থাকে না। তাই উদ্বিগ্ন না-হয়ে আগে নিয়মগুলি খতিয়ে দেখা জরুরি। ওই দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘স্বল্প সময়ের মধ্যে আধিকারিকদের বিপুল কাজ করতে হচ্ছে। কোথাও একটি-দু’টি ভুলভ্রান্তি নজরে এলে তা সঙ্গে সঙ্গেই সংশোধন করে দেওয়া হবে।’’