করোনার ভারতীয় প্রজাতি আরও ভয়ঙ্কর, মত বিশেষজ্ঞদের
সঙ্কটের মেঘ কেটে গিয়েছে ভাবলে ভুল হবে। এখনই করোনা সংক্রমণ নিয়ে হেলাফেলা ঠিক হবে না। কারণ কোভিড-১৯ (COVID 19) ভাইরাসের নতুন যে প্রজাতি (স্ট্রেন) ভারতে ধরা পড়েছে, তা আরও ভয়ঙ্কর। দাবি অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস (এমস)-এর প্রধান রণদীপ গুলেরিয়ার। তাঁর দাবি, করোনার ভারতীয় প্রজাতি অন্যগুলোর চেয়ে অনেক বেশি ভয়ঙ্কর। শুধুমাত্র দ্রুত হারে সংক্রমণ ছড়িয়েই পড়ে না, এই ভাইরাস এক বার শরীরে ঢুকলে অনেক বিপদ ঘটতে পারে। এমনকি যাঁরা এক বার করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন, তাঁদের শরীরেও নতুন করে বাসা বাঁধতে পারে ভাইরাসের এই নয়া প্রজাতি। শরীরে অ্যান্টিবডির উপস্থিতিতিও তাকে রুখতে পারে না।
মহারাষ্ট্রেই প্রথম করোনার এই নতুন ভারতীয় প্রজাতির হদিশ মেলে সম্প্রতি। দেশের সর্বত্র এখনও পর্যন্ত মোট ২৪০ জনের শরীরে মারণ ভাইরাসের এই নয়া প্রজাতির হদিশ মিলেছে। এই মুহূর্তে বিভিন্ন রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ ফের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার পিছনেও এই নয়া প্রজাতিই দায়ী বলে মনে করছেন মহারাষ্ট্র সরকাররে কোভিড টাস্ক ফোর্সের সদস্য শশাঙ্ক জোশী। মহারাষ্ট্র ছাড়াও কেরল, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ় এবং পঞ্জাবে গত কয়েক দিন ধরে দৈনিক সংক্রমণ বেড়েছে। তাই সতর্কতা মেনে চলা উচিত বলে জানিয়েছেন তিনি।
১৩০ কোটির দেশে ব্যাপক সংখ্যক মানুষের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে এই মুহূর্তে টিকাকরণে জোর দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রথম দফায় আপাতত স্বাস্থ্যকর্মী এবং জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্তদের প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। দ্বিতীয় দফায় প্রাধান্য পাবেন ২৪ কোটি পঞ্চাশোর্ধ্ব এবং কোমর্বিডিটি রয়েছে এমন মানুষরা। তার পর ধীরে ধীরে সাধারণ মানুষকে টিকাকরণের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রের। কিন্তু ভারতের মতো দেশে ব্যাপক হারে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলা সম্ভব নয় বলে মত গুলেরিয়ার। তাঁর মতে, যখনই কোনও ভাইরাস চরিত্র বদল করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার সমস্ত কলকব্জা এড়িয়ে যাওয়ার ক্ষমতা তৈরি হয় তার মধ্যে। সে ক্ষেত্রে প্রতিষেধক নেওয়ার পরেও যে কেউ নতুন করে সংক্রমিত হতে পারেন।