জাকির হোসেন হাসপাতালে, তবু তাঁর জনতার দরবারে ভিড়
নিমতিতা বিস্ফোরণের ঘটনার মধ্যেই অরঙ্গাবাদের বিদ্যুৎ দফতরের পাশে একটি বস্তার মধ্যে প্রায় তিন কিলো বিস্ফোরক উদ্ধার করে পুলিশ। শনিবার সকালে স্থানীয় দোকানদাররা ওই বস্তাটি দেখতে পাই। এরপরে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে বিস্ফোরকভর্তি বস্তাটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পুরো ঘটনার তদন্ত করছে সুতি থানার পুলিশ। নিমতিতা (Nimtita) স্টেশনে বিস্ফোরণের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তদন্তকারী অফিসাররা অন্ধকারে। শুক্রবার ফরেনসিক দলের আধিকারিকরা স্টেশন চত্বর থেকে একটি মোটর বাইকের ব্যাটারির ভাঙা অংশ উদ্ধার করে।
স্টেশন চত্বরে যে সমস্ত টোটো চালকেরা থাকে তাঁদেরকে সুতি থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। যে ব্যাগের ভেতর বিস্ফোরকটি ছিল সেই ব্যাগের একটি ছবি করে কাউকে বুধবার রাতে দেখা গিয়েছিল কিনা তার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। স্টেশন চত্বরে যে সমস্ত দোকানদার দের দোকানে সিসিটিভি রয়েছে সেই সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেন গোয়েন্দা আধিকারিকরা। স্টেশন সংলগ্ন যে চারটি মোবাইল টাওয়ার রয়েছে সেই টাওয়ারের বুধবার সন্ধ্যা থেকে যে সমস্ত কল হয়েছে তার কল লিস্ট খতিয়ে দেখছেন সিআইডি গোয়েন্দারা।
২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে জেতার পর থেকে জঙ্গিপুরের ফুলতলা মোড়ে শনি ও রবিবার জনতার দরবারে বসতেন মন্ত্রী জাকির হোসেন। প্রচুর মানুষ তাঁদের অভাব অভিযোগ জানাতেন মন্ত্রীকে। কাউকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা, অন্য কোনও সমস্যার সমাধানও বাতলে দিতেন। শনিবার সকালে অনেকেই এসে হাজির হয়েছিলেন।
রফিকা বিবি তাঁর মেয়ের বিয়ের জন্য বাড়ির কাছে এসে বসে ছিলেন। বলেন, এর আগে দুই মেয়ের বিয়েতে মন্ত্রী আমাকে আর্থিক সহযোগিতা করেছিলেন। আবার এসেছি। এসে শুনলাম দুর্ঘটনার কথা। আল্লাহ ওকে তাড়াতাড়ি সুস্থ করুক। দুর্ঘটনার কথা জানতে পেরে ছুটে এসেছি খবর নিতে। আজও সাধারণ মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। মন্ত্রী জাকির হোসেনের সঙ্গী শেষনাথ লালা বলেন, কেউ এখানে এসে খালি হাতে ঘুরে যায় না। সরকারের পাশে থাকার চেষ্টা করেন মন্ত্রী। আর সেই আশীর্বাদেই হয়তো প্রাণে রক্ষা পেলেন জাকির বাবু (Zakir Hossain)।