বাইডেনের নতুন অভিবাসন বিলে উপকৃত হবেন ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীরা
ভারতীয় তথ্য-প্রযুক্তি কর্মীদের জন্য সুখবর। নেপথ্যে জো বাইডেন (Joe Biden) প্রশাসনের তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ। ক্ষমতায় এসেই বহু প্রতীক্ষিত অভিবাসন বিল মার্কিন কংগ্রেসে পেশ করল বাইডেন প্রশাসন। বিলটির প্রস্তাবগুলির মধ্যে অন্যতম হল, গ্রিন কার্ডের দেশভিত্তিক ঊর্ধ্বসীমা উঠিয়ে দেওয়া। বিলটি আইনে পরিণত হলে স্বাভাবিকভাবেই উপকৃত হবেন অসংখ্য ভারতীয় তথ্য-প্রযুক্তি কর্মী।
মার্কিন নাগরিকত্ব আইন (US citizenship Act) নামে বিলটি ইতিমধ্যেই কংগ্রেসে পেশ করা হয়েছে। বিলটি মার্কিন কংগ্রেসের উভয় কক্ষে পাশ হলে ১ কোটি ১০ লক্ষ নথিহীন শ্রমিকের নাগরিকত্ব পাওয়ার রাস্তা তৈরি হবে। গ্রিন কার্ড পাওয়ার দেশভিত্তিক কোটার ঊর্ধ্বসীমা আর থাকবে না। পাশাপাশি এইচ-১বি ভিসায় কর্মরত বিদেশি কর্মীদের পরিবারের সদস্যদের কাজের অধিকারও স্বীকৃতি পাবে। বিলটি আইনে পরিণত হওয়ার পর আমেরিকায় বসবাসকারী লক্ষ লক্ষ বিদেশি নাগরিক মার্কিন নাগরিকত্ব পাবেন।
আইনি পথে আমেরিকায় আগতদের পাশাপাশি নথিহীন কর্মীরাও এর ফলে উপকৃত হবেন। উপকৃত হবেন অসংখ্য ভারতীয় তথ্য-প্রযুক্তি কর্মী ও তাঁদের পরিবারও। কারণ, অসংখ্য ভারতীয় তথ্য-প্রযুক্তি কর্মী এক দশকেরও বেশি আমেরিকায় থাকা সত্ত্বেও গ্রিন কার্ড থেকে বঞ্চিত হয়ে রয়েছেন।
বিলটি তৈরির নেপথ্যে রয়েছেন মার্কিন কংগ্রেসের দুই সদস্য। তাঁরা হলেন বব মেনেন্ডেজ ও লিন্ডা স্যাঞ্চেস। সাংবাদিকদের তাঁরা বলেন, অভিবাসন নীতির সংস্কার হবে প্রস্তাবিত এই আইনটির মাধ্যমে। কর্মসংস্থান ভিত্তিক অভিবাসন ব্যবস্থার ফলে অর্থনীতির শ্রীবৃদ্ধি ঘটবে। দেশভিত্তিক ঊর্ধ্বসীমা উঠে যাওয়ায় মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলি থেকে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ইঞ্জিনিয়ারিং ও গণিতে উচ্চতর ডিগ্রি প্রাপদের আমেরিকায় বসবাস সহজতর হবে। অল্প বেতনে শিল্প সংস্থাগুলিতে কাজ করা মানুষের গ্রিন কার্ড পাওয়ার রাস্তা মসৃণ হবে। স্যাঞ্চেস বলেন, আমি মেক্সিকো থেকে আমেরিকায় আসা অভিবাসী মা-বাবার মেয়ে। ভয়-ভীতি ছাড়াই যাতে মানুষ বাঁচতে পারেন, এমন একটি অভিবাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য আমি নিজের জীবন উৎসর্গ করেছি।