তৃণমূলের প্রার্থী হতে চান? আবেদনপত্রের জন্য বসল ড্রপবক্স
পুরোদমে বঙ্গে বিধানসভা ভোটের দামামা বেজে উঠতে আর মাত্র দিন কয়েক বাকি। তার আগে এবার স্লোগান প্রকাশ অনুষ্ঠান হয়ে গেল তৃণমূল (TMC) ভবনে। ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’ – একুশের বিধানসভা ভোটে এই স্লোগানকে হাতিয়ার করেই লড়াইয়ের ময়দানে নামছে রাজ্যের শাসক শিবির। শুক্রবারের অনুষ্ঠানে এই চার শব্দের স্লোগান লেখা পোস্টার, ব্যানার, হোর্ডিংয়ে ছেয়ে গেল গোটা তৃণমূল ভবন। তবে এবার চমকপ্রদ বিষয়, কেউ যদি প্রার্থী হতে চায়, সেক্ষেত্রে তৃণমূল ভবনে গিয়ে আবেদনপত্র জমা দিতে পারেন। এর মধ্যেই তৃণমূল ভবনে বসানো হয়েছে ড্রপ বাক্স। পাশাপাশি, এবার ভোটের তহবিলে অর্থ সংগ্রহের জন্য আলাদা করে বাক্স বসানো হয়েছে।
ঘরের মানুষ, কাছের মানুষ। ‘বহিরাগত’ নয়। এই ইস্যুতেই এবারের ভোটে লড়তে চায় তৃণমূল।তাই এবারে শাসকদলের স্লোগান – বাঙালি বনাম বাহারি। শুক্রবার এই অনুষ্ঠানে গত ১০ বছরে মমতা সরকারের কাজের খতিয়ান তুলে ধরেন দলের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সি, মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পাশাপাশি, বিভিন্ন স্লোগানের কোনটার কী অর্থ, কেনই বা জনগণের কাছে পৌঁছে যেতে সেসবে শান দেওয়া হয়েছে, তা বিস্তারিত বলেন তৃণমূল নেতারা। তবে প্রচারের মুখ অবশ্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এদিনের অনুষ্ঠানে তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় তেমনই বললেন। মমতার জননেত্রী ইমেজই শাসক শিবিরের সবচেয়ে বড় অস্ত্র। ফলে প্রার্থী নির্বাচনেও সেই জনপ্রিয়তার কথা মাথায় রাখা হবে, তেমনই ধারণা। ড্রপবক্সের আবেদনপত্র থেকে প্রার্থী বাছাইয়েও সেটাই অগ্রাধিকার পাবে।
শুক্রবার দুপুরে তৃণমূল ভবনে যখন একুশের লড়াইয়ের স্লোগানে শান দিচ্ছেন সুব্রত বক্সি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কাকলি গোষ দস্তিদাররা, উত্তরবঙ্গে তখন প্রচার সভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও একই বার্তা দিচ্ছেন। নাগরাকাটার সভা সকলকে শামিল করে সুর চড়িয়ে তিনি বলছেন, ”সাগর থেকে পাহাড়/মানুষের রায়/বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’। বিজেপিকে ফের ‘বহিরাগত’ আক্রমণে বিঁধলেন তিনি।
এদিকে, ‘বাংলার মেয়ে’ স্লোগান নিয়ে যথারীতি তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছেন রাজ্য বিজেপি (BJP) সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর মন্তব্য, ”বাংলার মেয়ে বাংলায় থাকবে আপত্তি কী আছে? কিন্তু পাড়ায় পাড়ায় সমাধান কী হল? দুয়ারে দুয়ারে সরকার কী হল? পাড়ায় পাড়ায় তো ধর্ষণ আর তোলাবাজি চলছে। অনেক তো সুযোগ দশ বছরে মুখ্যমন্ত্রী পেয়েছিলেন, কী করলেন? এখন আবার ঘুরে ফিরে ‘বাংলার মেয়ে’ বলে সহানুভূতির ভোট পেতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী।”