নতুন স্লোগানের প্রচারে নামতে কর্মীদের নির্দেশ দিল তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব
বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়- এই স্লোগান (New Slogan) রাজ্যের সব জায়গায় পৌছে দিতে রবিবার সকাল থেকেই তৎপরতা শুরু ঘাস ফুল শিবিরে। দলের জেনারেল সেক্রেটারি সুব্রত বক্সী ইতিমধ্যেই চিঠি দিয়ে সমস্ত জেলা সভাপতি, চেয়ারম্যান, ব্লক সভাপতি ও দলের অন্যান্য পদাধিকারীদের এই বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। দলের তরফে জানানো হয়েছে, “রবিবার জেলা সদর দফতরগুলিতে এই প্রকল্পের সূচনা কেন্দ্রিক কর্মসূচি নিতে হবে।
আগামীকাল প্রতিটি ব্লকের এবং নগরের দফতরে প্রচার উন্মোচন কর্মসূচি নিতে হবে। এখানে দলীয় কর্মী, সংবাদ মাধ্যমের কর্মী ও স্থানীয় মানুষের উপস্থিতি রাখতে হবে।” তবে এটা শুধু স্থানীয় ভাবে নিজ নিজ কেন্দ্রে প্রচার নয়৷ একই সাথে দলের সমস্ত পদাধিকারী নেতৃত্ব, দলের সদস্যদের জানানো হয়েছে সরাসরি ও ডিজিটাল মাধ্যমে “বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়” এর প্রচার চালিয়ে যেতে হবে। যাতে প্রতিটি মানুষের কাছে তারা পৌছতে পারে। ইতিমধ্যেই শহর কলকাতা জুড়ে একাধিক জায়গায় ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’ এর পোস্টার, ব্যানার দেওয়া হয়েছে। এমন জায়গা বাছাই করা হয়েছে যাতে সকলের নজরে পড়ে। এছাড়া ফেসবুক ও ট্যুইটারে রীতিমতো চলছে পোস্ট শেয়ারিং। ট্যুইটারে দীর্ঘ সময় তৃণমূলের এই প্রচার ট্রেন্ডিং ৪ ছিল।
কখনও মা-মাটি-মানুষের জয়গান, কখনও বদলা নয় বদল চাই, গত এক দশক ধরে তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) স্লোগানই নাড়িয়ে দিয়েছিল এই রাজ্যের মানুষের মন। বিধানসভা ভোটের নির্ঘণ্ট জারি হওয়ার আগে ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’ স্লোগানের জন্ম দিয়েছে তৃণমূল। স্লোগানেটির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান হয়েছে গত শনিবার তাক লাগানো, একবারে কর্পোরেট ধাঁচে।প্রতি নির্বাচনের আগে তৃণমূলের স্লোগান সারা ফেলে দেয়। তৃণমূল সুপ্রিমোর স্লোগান তৈরির স্বকীয় ভঙ্গিমাটিও সকলের চেনা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও বলেন, একটি অমোঘ স্লোগান অনেকগুলি জনসভার থেকেও বেশি প্রভাবশালী। প্রমাণ হিসেবে উঠে আসবে আব কি বার মোদি সরকারের মতো স্লোগান। অতীতের এই সমস্ত স্লোগানের সাফল্যকে আতসকাচের তলায় রেখেই স্লোগান তৈরি করেছে তৃণমূল। তৃণমূলের উদ্দেশ্যে এবার উন্নয়ন তাসকেই সামনে রাখা, কাজেই স্লোগানে তার ছাপ রাখা হয়েছে। পাশাপাশি মানুষের জন্য মানুষের পাশে রয়েছে, রয়েছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। এমন ছবি মানুষের সামনে তুলে ধরা হয়েছে।
এবার নির্বাচনে বাঙালি জাত্যাভিমানও একটা ফ্যাক্টর। কাজেই বাঙালি বনাম বহিরাগত তরজার প্রতিফলন পাওয়া গেছে এই স্লোগানে। এমনটাই মত রাজনৈতিক মহলের। তাই স্লোগান তৈরি করেই থেমে থাকা নয়, তৃণমূল চাইছে এই নয়া স্লোগানের ব্যাপক প্রচার। সেই কারণেই এই প্রথম এরকম ‘গালা লঞ্চ’ হল এই স্লোগানের। তৃণমূলের নেতাদের বক্তব্য এমন চোখ ধাঁধানো আয়োজন অতীতে দেখা যায়নি। এবার তার প্রচারেও তাই কোমর বেঁধে নেমে পড়ল শাসক দলের কর্মীরা।