করোনার সময় দেখা মেলেনি, মাদারিহাটে ক্ষোভ বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে
করোনাকালে মাদারিহাটের বিজেপি (BJP) বিধায়ক মনোজ টিগ্গা তাঁদের পাশে ছিলেন না। মাদারিহাট বিধানসভা কেন্দ্রের অধীন ২৬টি চা বাগানের (Tea Garden) বেশিরভাগের শ্রমিকরা এ কথাই বলছেন। কেউ বলছেন, লকডাউনের সময় গেরুয়া শিবিরের বিধায়ক কার্যত এলাকা থেকে নিখোঁজ ছিলেন। কেউ আবার বলছেন, পদ্ম ফুলের বিধায়ক সেই সময় শীতঘুমে কাটিয়েছেন। সম্প্রতি মাদারিহাট শহরে মনোজবাবুর ছবি দিয়ে হিন্দি ভাষায় ‘লা-পতা’ পোস্টারও পড়েছিল। শ্রমিকদের বক্তব্য, করোনা ও লকডাউনের বিপদের সময় তৃণমূলই তাঁদের পাশে ছিল। শ্রমিকদের স্বীকারোক্তি, রাজ্য সরকার নিঃশুল্ক রেশনের ব্যবস্থা না করলে করোনাকালে তাঁরা হয়তো না খেয়েই মরতেন। মনোজবাবুর অবশ্য পাল্টা অভিযোগ, করোনার সময় তাঁকে ও তাঁর দলের এমপি জন বারলাকে চাল বিলির জন্য কোনও বাগানে যেতে দেয়নি তৃণমূলের লোকজন।
ডিমডিমা চা বাগানের বাসিন্দা জয়প্রকাশ টোপ্পো বলেন, করোনা ও লকডাউনের সময় আমরা বিধায়ককে কোনও চা বাগানেই চাল, ডাল, তেল, নুন, সব্জি বিলি করতে দেখিনি। তৃণমূলের লোকজন ও রাজ্য সরকার সেই সময় পাশে না দাঁড়ালে আমরা তো কবে মরেই যেতাম। বীরপাড়া হাটে বাজার করতে করতে মহিলা চা শ্রমিক জয়মণি কেরকেট্টা বলেন, লকডাউনের সময় বিধায়কের দেখা পাইনি। সেই সময় তৃণমূলের লোকজন চাল, ডাল দিয়ে গিয়েছে। রাজ্য সরকার বিনা পয়সায় রেশন দিয়ে যেভাবে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল তা কোনওদিন ভুলতে পারব না।
বিধায়ক মনোজবাবুর এলাকায় না থাকার অভিযোগ তুলে সম্প্রতি মাদারিহাট শহরে তাঁর ছবি দিয়ে নিখোঁজের পোস্টার পড়ে। হিন্দিভাষায় পোস্টারে লেখা ছিল বিধায়ক মনোজ টিগ্গা ‘লা-পতা’। সেই সময় এই পোস্টার কারা সাঁটিয়েছিল তা অবশ্য জানা যায়নি। যদিও বিজেপির অভিযোগ, এর পিছনে তৃণমূলের চক্রান্ত ছিল।
তৃণমূলের (Trinamool) মাদারিহাট ব্লক সভাপতি সঞ্জয় লামা বলেন, বিজেপি বা ওই দলের বিধায়কের বিরুদ্ধে আমাদের কিছু বলতেই হচ্ছে না। শ্রমিকদের জিজ্ঞাসা করুন, করোনাকালে বিজেপি বিধায়ক কার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। ওরাই উত্তর দিয়ে দেবে। আমরা বিজেপি বিধায়কের প্রতি শ্রমিকদের অসন্তোষ ভোটের প্রচারের কাজে লাগাচ্ছি। পাল্টা অভিযোগ করে মনোজবাবু অবশ্য বলেন, করোনার সময় তৃণমূলের লোকজন আমাকে শ্রমিকদের বাড়িতে চাল, ডাল বিলি করতে দেয়নি। পুলিস দিয়ে আমাকে কার্যত গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছিল। এমপি জন বারলাকেও বান্দাপানি চা বাগানে চালের লরি নিয়ে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। শ্রমিকরাও সেটা জানে। এসব বিভ্রান্তিমূলক প্রচার করে তৃণমূলের লাভ হবে না।