অগ্রিম আলু সংরক্ষণে উদ্যোগী মমতার সরকার
এবছর রাজ্যে আলুর(Potato) অতি ফলন হয়েছে। ফলে সঠিক দাম পেতে অসুবিধা হতে পারে চাষিদের(Farmers)। সমস্যায় পড়তে পারেন আলু চাষিরা। চাষিদের যাতে আর্থিক ক্ষতি না হয় তার জন্য রাজ্য সরকার অগ্রিম আলু সংরক্ষণের স্কিম নিল। যা সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রস্তাব গৃহীত হয়। এই স্কিম অনুযায়ী, কেজি প্রতি ৬ টাকা দরে আলু কেনার জন্য হিমঘরগুলোকে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে বলে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়(Alapan Banerjee) জানান।
আলুচাষিরা যাতে ভবিষ্যতে অসুবিধার মধ্যে না পড়েন তাই রাজ্য সরকার হিমঘরগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে। মাঠে যাতে আলু পচে না যায়, তার জন্য হিমঘরে সংরক্ষণের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। দশ লক্ষ মেট্রিক টন আলু ৬ টাকা কেজি দরে কিনে নেওয়া যাবে। পরে তা বাজারে ছাড়া হবে। পরবর্তীকালে হিমঘরগুলো যদি কোনও সমস্যায় পড়ে তখন সরকার সেটা দেখবে। রাজ্য সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ দেওয়া হবে। শুধু জ্যোতি আলুর জন্যই এই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হিমঘরগুলো যদি এই কারণে কোনও ব্যাঙ্কঋণের জন্য চেষ্টা করে তখনও সরকার তাদের সাহায্য করবে বলে আলাপনবাবু জানান। আলুচাষিদের আশ্বস্ত করার জন্যই এই সিদ্ধান্ত সরকারের। রাজ্য মন্ত্রিসভায় আলুচাষিদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে অভিজ্ঞ মহলের ধারণা।
এছাড়াও এদিনের মন্ত্রিসভার বৈঠকে রাজ্য সরকার আরও বেশি পরিমাণ কৃষিজমিকে সেচ ব্যবস্থার আওতায় আনার জন্য দীর্ঘদিনের পুরনো ও জীর্ণ বাঁধগুলিকে সংস্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে মুখ্যসচিব সাংবাদিক বৈঠকে জানান, বিশ্বব্যাঙ্কের আর্থিক সহায়তায় এই বাঁধ মেরামতির কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। ৩৪৫ কোটি টাকার প্রকল্পের ৭০ শতাংশ টাকা দেবে বিশ্ব ব্যাঙ্ক। বাকি টাকা দেবে রাজ্য সরকার। এই প্রকল্পে কংসাবতী, শিলাবতী, মেসেঞ্জার, তিলপাড়া, মশানজোড়ের মতো বাঁধগুলিকে সংস্কার করা হবে। এর ফলে পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম সহ কয়েকটি জেলার ৪.৭ লক্ষ একর জমি এবং ৩৭ লক্ষ মানুষ উপকৃত হবে। আগামী চার বছরের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। এর আগে প্রথম পর্যায়ে মূলত ডিভিসি এলাকায় বাঁধ মেরামতের জন্য মোট ৩ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছিল। বাঁধ ও ব্যারেজের সংস্কার ও পুনর্বাসন করার কাজ শুরু হয়েছে। এক হাজার কোটি টাকার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। বাকি কাজের টেন্ডার ডাকা হবে বলে জানিয়েছেন সেচসচিব নবীন প্রকাশ। সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থি ছিলেন কৃষিবিপণন সচিব রাজেশ সিনহা এবং মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার।